• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নদীর পাড়ে তামাক চাষ বন্ধে বিএটিবি’র কৃষক সমাবেশ আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবিতে মানিকছড়িতে ইউপিডিএফের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ বান্দরবানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বই ও শিক্ষা উপকরণ উপহার প্রদান চাঁদার টাকা না দিলে হামলা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে -সন্ত্রাসী রকি গ্রুপ ১ যুগ পর মহালছড়ি গণতান্তিক উপায়ে বাজার ব্যবসায়ী কমিটি গঠন ওলামা বাজার মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলন সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে কাপ্তাই সেনা জোনের প্রীতি ভোজ  পরিষদ ভবণ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে মানিকছড়িতে সচেতন নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন মাটিরাঙ্গায় প্রা‌ন্তিক কৃষক‌দে‌র মাঝে বিনামূ‌ল্যে সার ও বীজ বিতরণ চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালে ২ দিনব্যাপী  দক্ষতা উন্নয়নের উপর কর্মশালা শুরু রাঙ্গামাটিতে ঘুষ-তদবির ছাড়া মেধার ভিত্তিতে ১৭ জন পেলেন পুলিশের চাকরি দাগনভূঞা সরকারি হাসপাতালে আস্থা ফিরেছে রোগীদের – ক্রমান্বয়ে বাড়ছে রোগী, কনসালটেন্ট ও জনবল সংকটে চরমে

বাজারে প্লাস্টিকের দাপট! হারিয়ে যাচ্ছে হস্তশিল্প বাঁশবেতের উপকরণ

আব্দুল মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার খাগড়াছড়ি  / ৭৩ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪

আব্দুল মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার খাগড়াছড়ি 
আধুনিকতার ছোঁয়ায় হস্তশিল্প বাঁশবেত উপকরণের জমজমাট হাট দখলে নিয়েছে প্লাস্টিক উপকরণ! ফলে হস্তশিল্প কারিগরেরা এখন দুঃসময় পার করছেন। খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের একটি গলিতে ওড়া, কুলা,চালুন, ঝুঁড়ি নিয়ে বসে আছেন হস্তশিল্পের কারিগর মো. খোরশেদ আলম ও তার বোন হালেমা খাতুন। এ সময় খোরশেদ আক্ষেপ করে বলেন, প্রয়াত পিতা মো. আব্দুস ছামাদের কাছে শিখা এই পেশায় এখন তিনবেলা ভাত জুটে না! আশা ছিল হস্তশিল্পের উদ্যোক্তা হওয়ার। ছোট একটি কারখানায় ১০/২০ জনকে হাতেকলমে কাজ শিখিয়ে বাঁশ ও বেত শিল্পের উপকরণ বাজারজাত করার। কিন্তু বাজারে যে ভাবে প্লাস্টিকের রাজত্ব বা প্রসার আমরা মনে আর টিকে থাকতে পারবো না! মানুষ আগের মতো বাঁশের উপকরণ ব্যবহার করতে চায় না। সবাই প্লাস্টিক ব্যবহার করে আজ পরিবেশ দুষণ করছে! আর পরিবেশ বান্ধব বাঁশ ও বেত শিল্পের প্রতি মানুষও কেমন যেন অমনোযোগী! এ বাজারে এখনও প্রায় ১৭/১৮ জন বাঁশের উপকরণ নিয়ে আসে। হালেমা খাতুন বলেন, আমি বাঁশের উপকরণ তৈরি করি কিন্তু সে অনুযায়ী বিক্রি হয় না। কি করব, কাজ শিখা যেন অন্যায় বা ভূল হয়েছে! জনপদে বাঁশ উৎপাদন কম, কিন্তু দাম বেশি। সপ্তাহে জনপ্রতি ২০/২২টি চালন বা ঝুঁড়ি বানানো যায়। বিক্রি হয় সর্বোচ্চ ১৫/১৬ টি। প্রতিটির দাম ১২০-১৫০ টাকা। দৈনিক মজুরী দাঁড়ায় গড়ে ৩০০-৩৫০ টাকা! এই আয় দিয়ে চলা দায়! পরিবেশ বান্ধব এই বাঁশ ও বেত শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে আগে সরকারের পরিকল্পনা ও বানানো সরঞ্জামাদি রপ্তানিসহ বাজারজাতকরণে উদ্যোগী হতে হবে তাহলেই এই বিলুপ্তপ্রায় বাঁশ,বেত শিল্প টিকে থাকবে আর হস্তশিল্পি বা কারিগরেরা বেঁচে থাকবে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি বাঁশের বেড়া ও চাটাই বানিয়ে বিক্রি করতে দেখা গেছে। মহামুনি সেগুন তলায় বেড়া বানানো রাঙ্গাপানির আব্দুল মালেক বলেন, আমি ছোটকালে লক্ষীপুরে কাজ শিখেছি। আগে সব জায়গায় বাঁশবেতের তৈরি জিনিসের চাহিদা ছিল, এখন প্লাস্টিকের দখলে সব! সকাল ৫টায় বাসা থেকে বেরিয়েছি, দুপুর নাগাদ ৪টা বিক্রি করছি।
ডাইনছড়ির শফিক মিয়া বলেন, জনপদে বাঁশ উৎপাদন কমে যাচ্ছে আর বাঁশ শিল্পের মধ্যে বেড়া, চাটাইয়ের কিছুটা চাহিদা থাকলেও অন্য উপকরণের জায়গায় দখলে নিয়েছে প্লাস্টিক পণ্য! পরিবেশ বান্ধব বাঁশ ও বেত শিল্পকে বাঁচাতে হলে আগে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. কামরুল আলম বলেন, এক সময় উপজেলা পর্যায়ে বাঁশ,বেত শিল্পের ওপর প্রশিক্ষণ বিষয়ক প্রকল্প ছিল। এখন সেটি নেই। তিনি আরও বলেন, বাঁশ, বেত শিল্প টিকিয়ে রাখতে হলে আগে বাজারজাত নিশ্চিত করেই উৎপাদনে যেতে হবে। না হলে প্লাস্টিক পণ্যের সাথে এই শিল্প টিকবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ