হাবিবুর রহমান, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্মীপুর জেলা কমলনগর উপজেলার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ১৭ বছর পর খোলা ময়দানে আয়োজিত এ সম্মেলনে বিপুলসংখ্যক কর্মীর জমায়েত দেখা গেছে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকাল জামায়াতে ইসলামীর কমলনগর উপজেলার ব্যানারে হাজির হাট ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আয়োজন করা হয়। বিকাল ৩টা থেকে কমলনগর উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন থেকে কর্মীরা সম্মেলনে যোগ দেন।
কমলনগর উপজেলার জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা মোঃ আবুল খায়ের এর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য সেক্রেটারি,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী,ঢাকা মহানগর উত্তর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি,বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির।ড.মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এত বেশি ছাত্র-জনতা হত্যা করেছে, যা পৃথিবীর ইতিহাসে আর ঘটেনি। শিশুদের কী অপরাধ ছিল? তারা শতাধিক শিশুকে হত্যা করেছে। নব্বই বছরের বৃদ্ধ তো রাস্তায় আসেনি, তাদের ঘরে ঢুকে হত্যা করেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এত জঘন্যতম নির্মমতা ও পৈশাচিকতা প্রদর্শন করেছে আওয়ামী লীগ। অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পর তাদের শাসনামলের সবচেয়ে নির্যাতিত-মজলুম দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোনো প্রতিশোধ নেয়নি। কারণ জামায়াত এভাবে প্রতিশোধ গ্রহণ করবে না। আমরা এই জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই প্রতিশোধ নেবো। আমরা জানমাল দিয়ে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করে পরকালের মুক্তি নিশ্চিত করতে চাই।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে লক্ষ্মীপুর জেলার জামায়াতের আমির এসইউএম রুহুল আমিন ভূঁইয়া,কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য নায়েবে আমীর,এ আর হাফিজ উল্যাহ,সেক্রেটারি বাংলাদেশ জামায়াতে আমীর লক্ষীপুর জেলা,ফারুক হোসাইন নুরনবী।সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ,মাওলানা হুমায়ুন কবির। শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য লক্ষীপুর জেলা, অধ্যাপক আবদুর রহমান। শুরা ও কর্মপরিষদ লক্ষীপুর জেলা,অধ্যাপক মিজানুর রহমান। সাবেক কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও সভাপতি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির এ্যাডভোকেট ফয়সাল আমিন।কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য, ছাত্র কল্যাণ ও ফাউন্ডেশন সম্পাদক বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবির, আবদুল্লাহ আল মামুন।
জামায়াত সূত্র জানায়, বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের গুম-হত্যা ও নির্যাতনের কারণে কমলনগরের দলটি প্রকাশ্যে কোনো সভা-সমাবেশ করতে পারেনি। এ সময়ে গোপনেই সংগঠনের কাজ এগিয়ে নিতে হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার বিতাড়িত হওয়ার পর দেশে এখন একটা স্থিতিশীল নিরাপদ পরিবেশ বিরাজ করছে। তাই এত বছর পর প্রকাশ্যে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।