আহমদ বিলাল খান
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ইমামরা দ্বীনি কর্মকান্ডে নেতৃত্বদানের পাশাপাশি প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সমাজে সচেনতা সৃষ্টি করে যাচ্ছেন।
শনিবার (শনিবার) সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি মিলনায়তনে ১১৫৩ তম দলের ইমামদের ৪৫দিন ব্যাপি নিয়মিত প্রশিক্ষন চলাকালীন ব্যাচের সাথে ইউনিসেফের সহায়তায় এইচপিভি ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম ও জীবন রক্ষাকারী মৌলিক আচরণ বিষয়ক দুইদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের ইমামদেরকে নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে একাডেমি। তাদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান যৌতুক, মাদক, নিরক্ষরতা ও সন্ত্রাসবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম ও মোয়াজ্জিনগন সামাজিক সমস্যা মোকাবেলার পাশপাশি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছেন।
চট্টগ্রাম ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির উপ-পরিচালক মোহাম্মদ এনায়েত হোসাইনের সঞ্চালনায় ও চট্টগ্রাম ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক বোরহান উদ্দীন মো. আবু আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, ঢাকা ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির পরিচালক মো. রেজ্জাকুল হায়দার, ঢাকা ইসলামিক ফাউন্ডেশন দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগে পরিচালক মোঃ তৌহিদুল আনোয়ার।
চট্টগ্রাম ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক বোরহান উদ্দীন মো. আবু আহসান বলেন, এই ফাউন্ডেশনের অধীনে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রতি শুক্রবার দেশের প্রায় চার লাখ মসজিদের মিম্বর থেকে শান্তি ও সম্প্রীতির বাণী পৌছে দিচ্ছেন ইমাম ও খতিবরা। তারা প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নানাভাবে জনসচেনতা সৃষ্টি করে যাচ্ছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করেন, মো. মাঈন উদ্দিন ও না’তে রাসুল (স.) পরিবেশন করেন, নুরুল মোস্তাফা আরজু ও দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন, তারা মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ মুঈনুদ্দীন। এছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগের ৯টি জেলা কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের নির্বাচিত একশো ইমাম অংশ নেন।