গত ৫ আগষ্টের পর থেকেই উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। বেশ কিছুদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করতে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
দেশের অভ্যন্তরে যেমন একটি গোষ্ঠী সব সময় সেনাবাহিনী ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ৫৪% বাঙ্গালি বিরোধী একটি মনোভাব তৈরি করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, ঠিক তেমনিভাবে লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিদেশে উপজাতি বিরোধী অবস্থান তৈরি করবার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।
এ লক্ষ্যে গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে উপজাতি একদিকে বিক্ষোভ মিছিল করে আমাদের গর্বীত সেনাবাহিনী নিয়ে মিথ্যাচার করেছে অন্যদিকে খাগড়াছড়ি শালবনের বাসিন্দ মামুন নামের এক বাঙ্গালীকে উপজাতি সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করে শান্ত পাহাড়কে পরীকল্পিতভাবে অশান্ত করার চেষ্টা করেছে যা আপনারা ২০ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখেছেন!
মামুন হত্যার প্রতিবাদে ১৯ তারিখ দীঘিনালায় নিরস্ত্র বাঙ্গালীদের মিছিলে অন্যায়ভাবে সশস্ত্র হামলা করে, পরবর্তীতে উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা দোকান লুটপাট করে অসংখ্য দোকানপাট জ্বালিয়ে দেয়।
এছাড়া ও উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা খাগড়াছড়ি সদর, পানছড়ি, লক্ষীছড়ি, মানিকছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে নিরীহ বাঙ্গালীদের উপর হামলা চালায় এবং সেনাবাহিনীর পথরোধ করে যা খুবই দুঃখ জনক।
আজ ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার পরিকল্পিত ভাবে প্রায়ই ৩/৪ হাজার উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী রাঙ্গামাটির বনরুপায় অতর্কিত হামলা করে বাঙ্গালীদের ঘর বাড়ী, দোকান পাট ও মসজিদ ভাঙ্গচুর লুটপাট করে, অনেক সাধারণ বাঙ্গালীকে মারধরও করে।
পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসর সকল বাঙালিসহ সকলকেই উপজাতিদের রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ডে সজাগ থাকতে হবে।
আলমগীর কবির
মহাসচিব:
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ