• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
নদীর পাড়ে তামাক চাষ বন্ধে বিএটিবি’র কৃষক সমাবেশ আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবিতে মানিকছড়িতে ইউপিডিএফের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ বান্দরবানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বই ও শিক্ষা উপকরণ উপহার প্রদান চাঁদার টাকা না দিলে হামলা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে -সন্ত্রাসী রকি গ্রুপ ১ যুগ পর মহালছড়ি গণতান্তিক উপায়ে বাজার ব্যবসায়ী কমিটি গঠন ওলামা বাজার মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলন সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে কাপ্তাই সেনা জোনের প্রীতি ভোজ  পরিষদ ভবণ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে মানিকছড়িতে সচেতন নাগরিক ফোরামের মানববন্ধন মাটিরাঙ্গায় প্রা‌ন্তিক কৃষক‌দে‌র মাঝে বিনামূ‌ল্যে সার ও বীজ বিতরণ চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালে ২ দিনব্যাপী  দক্ষতা উন্নয়নের উপর কর্মশালা শুরু রাঙ্গামাটিতে ঘুষ-তদবির ছাড়া মেধার ভিত্তিতে ১৭ জন পেলেন পুলিশের চাকরি দাগনভূঞা সরকারি হাসপাতালে আস্থা ফিরেছে রোগীদের – ক্রমান্বয়ে বাড়ছে রোগী, কনসালটেন্ট ও জনবল সংকটে চরমে

শিরকে ভরপুর জাতীয় সংগীত বন্ধের দাবী শিক্ষার্থীদের

রাঙামাটি প্রতিনিধিঃ / ২২৪ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৪

 

আলিয়া মাদ্রাসা একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। এখানে কুরআন-হাদীস পাঠ হয়। পবিত্র কুরআন হাদীস অনুসারে শিরক একটি অমার্জনীয় গুনাহ। অথচ অনেক আলিয়া মাদ্রাসা শুরু হয় এই শিরকী বাক্য সমৃদ্ধ জাতীয় সংগীত দিয়ে। তাই এ গান কিছুতেই মাদ্রাসায় পাঠ করা যেতে পারে না। অবিলম্বে সমস্ত মাদ্রাসায় এই শিরকযুক্ত গান বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন, আলিয়া মাদ্রাসা ছাত্র ঐক্য পরিষদের আহ্ববায়ক মুহম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে আলিয়া মাদ্রাসা ছাত্র ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘জাতীয় সংগীত’ পাঠ বন্ধের দাবিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন আলিয়া মাদ্রাসার শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা জানায়, আলিয়া মাদ্রাসা একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। এখানে কুরআন-হাদীস পাঠ হয়। পবিত্র কুরআন হাদীস অনুসারে শিরক একটি অমার্জনীয় গুনাহ। অথচ অনেক আলিয়া মাদ্রাসা শুরু হয় এই শিরকী বাক্য সমৃদ্ধ জাতীয় সংগীত দিয়ে। তাই এ গান কিছু কিছুতেই মাদ্রাসায় পাঠ করা যেতে পারে না। অবিলম্বে সমস্ত মাদ্রাসায় এই শিরকযুক্ত গান বন্ধ করতে হবে।

আলিয়া মাদ্রাসা ছাত্র ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্ববায়ক, মুহম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার আলিয়া মাদ্রাসা মত একটি ইসলাম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উপর জোর করে কথিত ‘জাতীয় সংগীত’ চাপিয়ে দেয়। অনেক মাদ্রাসায় প্রাত্যহিক সমাবেশকালে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের এই গান গাইতে বাধ্য করা হয়। অথচ মাদ্রাসা একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। পবিত্র কুরআন-হাদীস শেখানোর স্থান। পবিত্র কুরআন শরীফে সূরা আন নিসার ৪৮ নং আয়াত শরীফে আছে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক সমস্ত গুনাহ মাফ করেন, কিন্তু শিরকের গুনাহ মাফ করেন না।” রবীন্দ্রনাথের লেখা কথিত জাতীয় সংগীত বিভিন্ন শিরকী কথায় ভরপুর। সেই শিরকী কথা সমৃদ্ধ গান মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা পাঠ করতে পারে না।

মামুন বলেন, কবি রবীন্দ্রনাথের লেখা আমার সোনার বাংলা গানের প্রথম ১০ লাইন জাতীয় সংগীত হিসেবে পাঠ হয়। কিন্তু মূল গানটি ২৫ লাইনের। পুরোটি গান অবলোকন করলে স্পষ্ট হয়, রবীন্দ্রনাথ তার ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে বাংলাকে দেবী হিসেবে কল্পনা করেছেন। তাই জাতীয় সংগীতকে এক প্রকার দেবী বন্দনা বলা যায়। যা দ্বীন ইসলামের আকিদ্বা বা বিশ্বাসের সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। একজন মুসলমান, বিশেষ করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা কিছুতেই তা পাঠ করতে পারি না।

আলিয়া মাদ্রাসা ছাত্র ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্ববায়ক আরো বলেন, বর্তমানে রাষ্ট্রের সীমানা বিবেচনা করলে রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশের কবি নয়, সে ভারতীয় কবি। জন্ম ও মৃত্যু দুটোই ভারতের সীমানায়। তিনি ভারতের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা। বাংলাদেশের অনেক গুণী লেখক-কবি আছেন। তাদের লেখা রচনা বাদ দিয়ে ভারতীয় কবির কবিতাই কেন? ‘আমার সোনার বাংলা’ গানে যে বাংলা’র কথা বলা হয়েছে, সেই বাংলা আর আমাদের বাংলাদেশ তো এক নয়। ইতিহাস স্বাক্ষী, ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষিতে রবীন্দ্রনাথ গানটি রচনা করে। বঙ্গভঙ্গের কারণে কলকাতাকেন্দ্রীক জমিদারদের বর্তমান বাংলাদেশের উপর আধিপত্যবাদ খর্ব হয়। সেই কষ্টে এই গানটি রচনা করে কলকাতার জমিদার রবীন্দ্রনাথ। তাই এ গানের চেতনার সাথে বর্তমান বাংলাদেশ সৃষ্টির চেতনা সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। সুতরাং এ গানটি কখনই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হওয়ার যোগ্যতা রাখে না।

‘আলিয়া মাদ্রাসা ছাত্র ঐক্য পরিষদ’ এর সদস্য, মুহম্মদ গোলাম সামদানি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ এর ২ অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাউকে ভিন্ন ধর্মের কার্য গ্রহণ করতে বাধ্য করা যাবে না। অথচ মুসলিম শিক্ষার্থীদের উপর জোর করে একটি ভিন্ন ধর্মের গান চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী। সুতরাং অবিলম্বে মাদ্রাসাগুলোতে রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সংগীত পাঠ বন্ধ করতে হবে।

আমরা দিল্লীর পিঞ্জরমুক্ত নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এখন দিল্লীর কবির জাতীয় সংগীত থেকেও মুক্তি চাই। পৃথিবীর অনেক দেশেই জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের নজির রয়েছে। যেমন সুইজার‌ল্যান্ড, রাশিয়া, কানাডা, মায়নামার, নেপাল, জার্মানিতে জাতীয় সংগীত পরিবর্তন হয়েছে। তাহলে বাংলাদেশে জাতীয় সংগীত পরিবর্তন হতে সমস্যা কোথায়?


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ