রিপন ওঝা,মহালছড়ি
সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়ির মহালছড়ি বাজার ও মাইসছড়ি বাজারে যে পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ২০০বা তার অধিক মূল্য নির্ধারিত, যা আগের বাজার থেকে দ্বিগুন বলা যায়, সত্যিকার অর্থে ক্রেতাগণের অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত যে, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে, এমন ভিত্তিহীন খবর গুজবের ন্যায় আসা মাত্র রীতিমতো যেন দেশের সকল বাজার জুড়ে অস্তিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়,ফলশ্রুতিতে দেশের প্রতিটি বাজারের মহালছড়ি ও মাইসছড়ি বাজারে পেয়াঁজের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছিল।
গত শনিবার ও রবিবার কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মহালছড়ি বাজার ও মাইসছড়ি বাজারে দোকানদারগণ সাধারণ ক্রেতা হতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০০টাকার অধিক মূল্য দিয়ে ক্রয় করতে বলে এমনটাই শোনা যায়, আজ সোমবার সকালে মহালছড়ি বাজারে গিয়ে সবার দোকানে নতুন পেয়াঁজ, দোকানীকে জিজ্ঞেস করতে বলেই প্রতি কেজি ২০০টাকা বা তারও অধিক। এমন মূল্য শোনার পরে সাধারণ ক্রেতার মাঝে হাঁপিয়ে ওঠার মতোই। গুজবের পর হতেই মহালছড়ি ও মাইসছড়ি বাজারে প্রতিটি দোকানের সামনে সাজানো পেঁয়াজের স্টল হতে বস্তায় বস্তায় গুদামজাত করে দোকানের পেছনে বা গুদামে রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে, যা মূলত তদারকি করার মতোই কেউই নাই।
বাজার ঘুরে ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া সবখানে একইরকম দেখা গেল হতাশ, ক্ষুব্ধ আর অসহায়। অসহায় জনগণ বারংবার বলছে সরকারের নিয়ন্থনাধীন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কাজটা কি? আলুর ধরে সিন্ডিকেট, ডিমের ধরে সিন্ডিকেট, চিনির ধরে সিন্ডিকেট, তেলের ধরে সিন্ডিকেট, দেশের বাজার পরিস্তিতি, উপজেলা পর্যায়ে ভোক্তা অধিকারে কাজ কি? প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতে বিচার নাই কেন? অন্যদিকে, বিক্রেতাদের মধ্যে দেখা গেল মৃদু প্রতিক্রিয়া।