• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালে ২ দিনব্যাপী  দক্ষতা উন্নয়নের উপর কর্মশালা শুরু রাঙ্গামাটিতে ঘুষ-তদবির ছাড়া মেধার ভিত্তিতে ১৭ জন পেলেন পুলিশের চাকরি দাগনভূঞা সরকারি হাসপাতালে আস্থা ফিরেছে রোগীদের – ক্রমান্বয়ে বাড়ছে রোগী, কনসালটেন্ট ও জনবল সংকটে চরমে ইসলামি ফাউন্ডেশন উদ্যোগে মহিলাদের মধ্যে সেলাই মেশিন ও ভাতা প্রদান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের পরিদর্শনের এ.এস.এম এমদাদুল কবীর মাগুরায় সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের জমি দখলের পায়তারা, আতংকে শাপলা হকের পরিবার খাগড়াছড়িতে জেলা পর্যায়ে জাতীয় শিশু কিশোর ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত  কমলনগর উপজেলার আগামী দুই বছরের জন্য আমির হিসাবে নির্বাচিত হলেন মাওলানা আবুল খায়ের মোল্লাহাটে বিষাক্ত রাসায়নিক জেলি পুশকৃত চিংড়ি জব্দ সিন্দুকছড়ি জোনে মাসিক মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত মণিরামপুরে আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা দীঘিনালায় আইন শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৮১৪টি ক্রিক উন্নয়ন

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান (বান্দরবান) / ৮৯১৪ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৩

বান্দরবানের লামায় মৎস্য অধিদপ্তরাধীন ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের’ আওতায় উপজেলা পর্যায়ে স্টেকহোল্ডার ক্যাম্পেইন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা জামাল। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ছিলেন বান্দরবান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অভিজিৎ শীল। অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, লামা পৌরসভা মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদ উদ্দিন স্টেকহোল্ডার প্রজেক্ট সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল হাসান সহ প্রমূখ। এছাড়া উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ইউপি চেয়ারম্যানগণ, প্রশিক্ষণ নিতে আসা ক্রিক মালিক, মৎস্য চাষী, জেলে ও প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অভিজিৎ শীল বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন ও মৎস্য চাষের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি, পার্বত্য জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আয় বৃদ্ধি এবং সরকারের দারিদ্র হ্রাসকরণই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। তাছাড়া প্রকল্পের চারটি সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য রয়েছে। তা হল- ক্রিক/জলাশয়/জলাধারের পরিবেশ ও প্রতিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, ক্রিক-সংশ্লিষ্ট সুফলভোগীদের মাছ চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তির বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়ন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের অনগ্রসর/প্রান্তিক জনগোষ্ঠির পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও সংশিষ্ট সুফলভোগীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে মৎস্য অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধি।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম গুলো হচ্ছে- তিন পার্বত্য জেলায় ২৬টি উপজেলায় ৮১৪টি ক্রিক উন্নয়নের জন্য বাঁধ ও ড্রেন নির্মাণ, প্রাকৃতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ৮০টি ক্রিক মেরামত ও সংরক্ষণ, প্রকল্প মেয়াদের প্রকল্প এলাকায় ৭৫৪০জন সুফলভোগীদের প্রশিক্ষণ প্রদানে দক্ষতা উন্নয়ন, ৩৬০০ দরিদ্র মৎস্যজীবি জেলে পরিবারকে বিকল্প কর্মসংস্থানে সহায়তা প্রদান, ৭টি মাছের অভয়াশ্রম স্থাপন এবং প্রকল্প এলাকায় সম্ভাবনাময় ৪টি মৎস্য চাষ প্রযুক্তি প্যাকেজের মাধ্যমে ৮১৪টি প্রদর্শনী খামার স্থাপন।

এছাড়া প্রকল্পের আওতায় রাঙ্গামাটিতে ১টি জেলা মৎস্য অফিস, ৩টি পার্বত্য জেলায় ১৫টি উপজেলা মৎস্য অফিস নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ৩টি হ্যাচারী ও ১টি ট্রেনিং সেন্টার মেরামত ও সংষ্কার করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ