মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালাত বৃদ্ধ মাকে ভরণপোষন না দেওয়া, মায়ের পৈত্রিক সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় মারধর ও হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগে ছেলে ও পুত্রবধুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক মায়ের নির্যাতন মামলার আসামী ছেলে বদরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী হাজেরা বেগমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বদরুল ইসলাম উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের বড়থল (আদর্শগ্রাম) গ্রামের ছফির উদ্দিনের ছেলে।
জানা গেছে, বৃদ্ধা মা রাবিয়া বেগমের পৈত্রিক সম্পত্তি (ফরায়েজ) লিখে দিতে রাজি না হওয়ায় ছেলে বদরুল ইসলাম, তার স্ত্রী হাজেরা বেগম ও শ্যালক আব্দুর রহিম বৃদ্ধাকে নানাভাবে নির্যাতন চালাচ্ছিল। এর জের ধরে চলিত বছরের ১৯ জানুয়ারী বদরুল ইসলাম স্ত্রী ও শ্যালককে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাবিয়া বেগমকে কুপ দিলে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। এসময় বৃদ্ধাকে বাঁচাতে অপর ছেলে ও প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে তাদের উপর চড়াও হয় এবং তাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। এঘটনায় চিকিৎসা শেষে বৃদ্ধা রাবিয়া বেগম ছেলে বদরুল ইসলাম, তার স্ত্রী হাজেরা বেগম ও শ্যালক আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে ২২ জানুয়ারী আদালতে মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বুধবার রাতে পুলিশ বদরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। অপরদিকে বদরুল ইসলামের স্ত্রী হাজেরা বেগম আদালতে আত্মসমর্পন করলে বিজ্ঞ আদালত স্বামী-স্ত্রী দু’জনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারি (ভারপ্রাপ্ত) হুমায়ুন কবির জানান, বৃদ্ধা মায়ের মামলায় গ্রেপ্তার পুত্র ও আত্মসমর্পনকারী পুত্রবধুকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।