মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৫নং কালাপুর ইউনিয়নের সিরাজনগর গ্রামে জমিজমার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বৃদ্ধা মা ও ছেলে আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় দু’জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দায়েরকৃত মামলার সুত্রে জানা যায়, গত ৮ই জুলাই দুপুর দেড় টার দিকে জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের একপর্যায়ে আপন চাচির সাথে ভাতিজা ও তার পিতার হাতাহাতি এবং পরে বেদরখ লাঠি পেটা ও নির্মমভাবে ষাটৌরোর্ধ্ব বৃদ্ধাকে পেটানো হয়।
আব্দুল মুকিত মিয়া (৩৯) জানান, তার আপন চাচা ফারুক মিয়া (৭০) ও ছেলে আব্দুল হামিদ (২৭) মিলে আব্দুল মুকিত মিয়াকে আঘাত করেন।
মারামারির একপর্যায়ে আমার মা পিয়ারা বেগম (৫৯) আটকাতে আসলে তাকে ও পিটিয়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত করা হয়।
বর্তমানে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকার গ্রীন লাইফ প্রাইভেটহাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়ে যাচ্ছেন। বৃদ্ধা মা আহত হলে প্রথমে মৌলভীবাজার সদর ২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরন করেন।
সেখানে চিকিৎসার একপর্যায়ে কোমড়ের হাঁড় ভাঙ্গার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সেখানে জায়গা স্বল্পতার কারণে সিলেট পপুলার প্রাইভেট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে রোগীর অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকা পিজি হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
বর্তমানে গ্ৰীন লাইন হাসপাতালে কোমড়ের হাঁড় ভাঙার অপারেশন সম্পন্ন করা হয়।
বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।
আব্দুল মুকিত আরো বলেন, জায়গার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে আমাদের সাথে পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে এলাকার মুরব্বিদের নিয়ে সালিশ বৈঠক হলেও ঘটনার নিস্পতি হয়নি। উল্টো ঐদিনই এমন মর্মান্তিক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আমার আম্মা হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে প্রতিটি সেকেন্ড জীবনের সাথে সাথে লড়ছেন।
এবিষয়ে আমি শ্রীমঙ্গল থানায় ঘটনার দিন অবগত করেছিলাম। থানা থেকে আমাকে প্রথমে আমার মায়ের চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। একারনে মামলা দায়ের করতে অনেকটা কালক্ষেপনের পর (২৯ জুলাই) শনিবার মামলা রুজু করা হয়েছে। হাসপাতালে মায়ের কোমড়ের অপারেশন করা হয়েছে।
পরোক্ষনে অবস্থার অবনতি হলে নিরীর পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
এবিষয়ে জানতে রোববার শ্রীমঙ্গল থানার ওসি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, আসামিদ্বয়কে আইনের আওতায় আনতে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।