ঢাকা: দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে কমে ২৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে, যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। আকুকে ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে। এতে মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়নে। আবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মানদণ্ড অনুযায়ী গণনা করায় রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে বর্তমানে দেশের ব্যবহারযোগ্য মোট রিজার্ভের পরিমাণ হবে ২৪ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে ২০১৬ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছিল দেশের রিজার্ভ। তবে ওই বছরের শেষ দিকে রিজার্ভ বেড়ে ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এরপর ২০১৭ সালের জুনে রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। করোনাকালেও তুলনামুলক ভালো অবস্থানে ছিল রিজার্ভ। তখন ৩২ থেকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ছিল রিজার্ভ। এরপর ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়ে যায়।
দেশের রিজার্ভ বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক একাধিক বার টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্য নির্ধারণ করে। তাতেও সংকট না কমলে এ দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনকে (বাফেদা)।
এখন নতুন সিদ্ধান্তের ফলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে দাম পাবেন ১০৮ টাকা, যা আগে ছিল ১০৭ টাকা। একইভাবে রপ্তানিকারকেরা রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম পাবেন ১০৬ টাকা, যা আগে ছিল ১০৫ টাকা।
নতুন এ সিদ্ধান্ত গত ১ মে থেকে কার্যকর হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাফেদা চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল করিম।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/এমএস