পিতৃপরিচয় ও ভরনপোষণ চায়তে গিয়ে মা কোহিনূর আক্তার হামলার শিকার ও প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দিয়ে আসাতে কক্সবাজার নারী শিশু দমন আইনে একটা মামলা করেন। বতর্মান মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে।
ভুক্তভোগী কোহিনূর আক্তার বলেন, এমত অবস্থায় কলিম উল্লাহ দ্বিতীয় বিয়ে করে শাকিলা আক্তারকে এ সংবাদের পর তার সন্তানের ভরনপোষণ চাইতে এলে স্বামী কলিম উল্লাহ দেন মোহর বাবদ ৩ লক্ষ হতে মাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আমার বরাবর প্রেরণ করে। তারপর থেকে আমাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ছিন্ন হয়। পরে আমি আমার একমাত্র শিশু কন্যা সন্তান’কে নিয়ে ২০১১ সালে দ্বিতীয় বিয়ে বসে দোয়াজারী এলাকায় জীবন যাপন করতে থাকি দীর্ঘ ১৩ বছর কোন অবস্থাতে এক দিনের জন্য আমার শিশু কন্যা ছামিহা করিম মুক্তা তার পিতার আদর পায়নি, ছিল তার নানার বাড়ীতে, পরবর্তীতে স্বামী’র অনুমতিক্রমে আমার সংসারে নিয়ে আসি, সেই বর্তমানে দোয়াজারী হাই স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। তার আসল বাবার বাড়ী পাশে মুক্তার খালার বাড়ী গেলে বিভিন্ন ভাষায় তাকে গালিগালাজ করে এবং আমার সন্তানের পিতৃ পরিচয় না দিতে জানায়ে দেয়। এমতাবস্থায় সম্প্রতি গত ২ ই মার্চ আমার বড় বোনের বাসায় যাওয়ার পথে ছোট কুলালপাড়া রাস্তার উপর পৌঁছাই। সেখানে লাঠি লোহার রডসহ পূর্ব হতে ওৎ পেতে থাকা সাবেক কলিম উল্লাহ ও তার ভাই আমাদের গাড়ী গতিরোধ করে আমাকে গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় আমি প্রতিবাদ করলে তাদের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে লোহার রড দ্বারা ও লাঠি দিয়ে আমার আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে জখম করে। আমার গালার স্বর্নের চেইন নিয়ে নেয়, ওড়না দিয়ে আমার গলায় পেচিয়ে দুই মুখ দুই দিক দিয়ে টেনে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে এটি জানতে পারলাম আমি নারী শিশু দমন আইনে মামলা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটায়। এসময় আমার ডাক চিৎকারে পথচারীরা এসে আমাকে উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে ভর্তি করে। এই ঘটনায় কোথাও কোন মামলা করলে আমাকে হত্যার হুমকি দেয় কলিম উল্লাহ। বর্তমান অবস্থায় আমি আমার সন্তানের দীর্ঘদিন ১৩ বছরের ভরনপোষণ, পিতৃপরিচয়সহ প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের আবেদন করছি।
এম/এস