• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন

মাগুরায় মনোয়ার খানে নেতৃত্বে জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের দাবি

মাগুরা প্রতিনিধিঃ / ৮৭০ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২২

মাগুরা জেলা বিএনপি এখন টপ ফর্মে। সরকার পতন আন্দোলনে তারা গুড পারফরমেন্স দেখাচ্ছে। এ ছাড়া নেতা-কর্মীরাও অকুতোভয় এক নেতার ছায়া ও নেতৃত্ব পেয়ে জীবনবাজী রাখার শপথ নিয়েছেন। এখন মাগুরা জেলা বিএনপি যে কোন চ্যালেঞ্জ নিতে শতভাগ প্রস্তুত এমনটিই জানিয়েছেন জেলার সিনিয়র নেতারা। হঠাৎ করে মাগুরা জেলা বিএনপির নেতা কর্মীরা মারদাংগা চরিত্রে আবির্ভুত হলেন কেন ? তাদের এই সাহসের উৎস কোথায়। পেয়েছেন কি কোন হ্যামিলেনের বাঁশিওয়ালা ? এ প্রশ্ন আজ গোটা মাগুরাবাসীর। হ্যা-একেই বলে নেতৃত্বের কারিশমা। গত একদশক ধরে এমন একটি সাহসী নেতৃত্বের অপেক্ষায় করছিলেন নেতা কর্মীরা। আর সেটা যখন পেয়েগেছেন তখন তার ভয়কে জয় করেছেন। এই নেতার জন্য তারা প্রান বলি দিতেও দ্বিধা করবেন না বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন। গত এক দশকে বারবার নেতৃত্ব বদল করেও মাগুরা জেলা বিএনপিকে চাংগা করা যাচ্ছিলো না। কেন্দ্রিয় নেতারা এ বিষয়ে হতাশ ছিলেন। নেতা কর্মীদের মনে দ্রোহের পারদ ছড়াতে পারেন এমন একজন নেতাকেই খুঁজছিলেন তারা। অবশেষে তার দেখা মিলেছে। তাই মাগুরা জেলা বিএনপি এখন গর্জে উঠেছে।

প্রশ্ন হলো: কে সেই নেতা যার আগমনে আওয়ামী লীগের বি টিম অপবাদ থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে মাগুরা জেলা বিএনপি ? আসুন তার সাথে পরিচিত হওয়া যাক। তিনি হলেন মানবিক নেতা মো: মনোয়ার হোসেন খান। যার অসীম সাহসী নেতৃত্বে মাগুরা জেলা বিএনপি এখন দুর্জয়-দুর্বার গতিময়। জেলা কমিটির ভাইটাল কোন পদে না থাকলেও তিনি যে দিন থেকে ঢাকা থেকে মাগুরায় অবস্থান নিয়েছেন সে দিন থেকেই মাগুরা জেলা বিএনপির রূপ পাল্টে গেছে। নেতা-কর্মীরা তাকে নেতৃত্বে পেয়ে স্ফুলিংগের মত জ্বলে উঠেছেন। গৃহবন্দী দশা থেকে রাজপথে নেমে এসছেন। এখন তাদের সকল শক্তির উৎস জননেতা মো: মনোয়ার হোসেন খান। গত একদশকে মাগুরা জেলা বিএনপিকে যারা আওয়ামী লীগের বি টিম বানিয়ে রেখে রাতের আঁধারে সরকারি দলের নেতাদের সাথে আঁতাত করে নানা সুয়োগ সুবিধা নিয়েছেন তারা আজ বিতর্কিত হয়ে পড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবী করেছেন ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। বিগত দিনে মাগুরা জেলা বিএনপির আহবায়ক হিসাবে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তারা হলেন,প্রয়াত বর্ষীয়ান নেতা,সৈয়দ আলী করিম, জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবীর মুরাদ,( সভাপতি) এড. নিতাই রায় চেীধুরী ও মো: আলী আহমেদ বিশ্বাস। কিন্ত তাদের কয়েকজন আপোষকামী রাজনীতির করণে বিতর্কিত হয়ে পড়েন। ফলে বিরোধী দলীয় রাজনীতির অগ্নি মশাল রূপ তারা দেখাতে পারেন নি। নেতা-কর্মীদেরও চাংগা করতে পারেন নি। তবে দলের জন্য তারা সকলেই নিবেদিত প্রান ছিলেন। মামলা-হামলার শিকারও হয়েছেন। কিন্ত্র কেউ কেউ দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে রাতের আঁধারে সরকারি দলের সাথে মিতালী করে আর্থিক ও বাণিজ্যিক সুবিধা নিয়ে দলের অশেষ ক্ষতিসাধন করেছেন। তাদের মুখোষ আজ নেতা কর্মীদের কাছে স্পষ্ট হয়েগেছে। ফলে তারা চাইছেন নতুন নেতৃত্ব। সে দাবী জানিয়ে তারা দলের কো-চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমান ও মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে চিঠিও লিখেছেন। তারা চাইছেন মানবিক নেতা মো: মনোয়ার হোসেন খানের হাতে মাগুরা জেলা বিএনপির নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হোক। গত এক বছরে রাজনীতে সক্রিয় হয়ে তিনি যে অভুতপূর্ব সাফল্য দেখিয়েছেন তা অবশ্যয় মুল্যায়ণের দাবী রাখে। তা ছাড়া অংগ সংগঠনের প্রায় সকল নেতা কর্মীই মো: মনোয়ার হোসেন খানের নেতৃতে¦র প্রতি আস্থাশীল মনোভাব পোষন করেছেন। তিনি এখন মাগুরা জেলা বিএনপির নেতা কর্মীদের কাছে বটবৃক্ষ সমান। তাদেরকে ছায়া মায়া দিয়ে আগলে রেখেছেন। যা আগে কোন নেতা করার চেষ্টা করেন নি।

এ প্রসংগে কথা বললে নাম না প্রকাশ করার শর্তে সিংহভাগ নেতারাই বলেন, মো: মনোয়ার হোসেন খানই আমাদের যোগ্য নেতা। তিনি কোন কর্মসুচিতে আসছেন এ খবর শোনা মাত্রই ওই কর্মসুচিতে নেতা-কর্মীদের ঢল নামে। মিছিল ও সভা সার্থক হয়ে ওঠে। রাজনৈতিক শিষ্টাচারেও তিনি সবার থেকে আলাদা। মানব সেবায় তিনি এক অন্যন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি জেলার অসংখ্য বেকার যুবকদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর সুযোগ করে দিয়ে একটা স্বাতন্ত্র ভোট ব্যাংকও গড়ে তুলেছেন। যা মাগুরা জেলা বিএনপির অন্য কোন নেতার নেই। তারা আরো বলেন, মাগুরা জেলা বিএনপির বর্তমান যে আহবায়ক কমিটি রয়েছে সেটির নেতৃত্ব নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। তাই সেটি ভেংগে দিয়ে জননেতা মো: মনোয়ার খানের নেতৃত্বে নতুন কমিটি ঘোষণা করা ফরয হয়ে পড়েছে। অন্যথায় আগামীতে সরকার পতনের একদফার আন্দোলন সফল করা যাবে না।

এম/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ