আবহমান কাল থেকে বাঙালিদের তথা ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের মধ্যে যৌনতা সম্পর্কে এক ধরনের আড়ষ্ঠতা ও লজ্জাবোধ কাজ করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিষয়টি নিয়ে খুব কম মানুষই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। কেউ কেউ গোপনে বা লুকিয়ে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করে থাকেন। এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন দেশের এক ধরনের কথিত কবিরাজ ও হাতুড়ে চিকিৎসকরা, যাদের কোন ধরনের সেক্স বিষয়ের উপর নুন্যতম কোন ডিগ্রি তো দূরের কথা, স্বচ্ছ ধারণা পর্যন্ত নেই, তারাই বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন এই সব রোগীদের, তাদের সরবরাহকৃত ওষুধের মধ্যে বেশিরভাগই ভায়াগ্রার সংমিশ্রণ থাকে । দীর্ঘ মেয়াদে এইসব ঔষুধ সেবন করলে হার্টের রোগ স্মৃতি হয় ও কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে অনেক যুবক এই ঔষুধ সেবন করে অকালে স্টোক করে মারা যাচ্ছে, দিন দিন যা বাংলাদেশে অনেকটা মহামারী আকার ধারণ করছে।

মাগুরায় এমনি একজন মহিলা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক রিক্তা পারভীন যিনি সাধারণ চিকিৎসক হিসেবে খুব বেশি সফলতা না পেলেও, অনলাইন ফেইসবুক পেজ রগরোগে যৌন ভিডিও ছেড়ে অনলাইন রমরমা সেক্স ওষুধের ব্যবসার ফাঁদ খুলে বসেছেন।

অনলাইনে বিষয়টি নিয়ে সবার দৃষ্টি আকৃষ্ট হলে আজ ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার আনুমানিক রাত আটটায় মাগুরা সিভিল সার্জন চৌকষ একটি টিম নিয়ে মাগুরার শিমুলিয়া গ্রামের সেবা হোমিও হলে অভিযান চালান এবং অশ্লীল ভিডিও পেজসহ রিক্তা পারভিনকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন। অনেকদিন ধরে রিক্তা পারভীন তার আপন ছেলে আব্দুল্লাহ সাদ শুভকে দিয়ে এই ধরনের অশ্লীল নির্মাণ করে প্রচারণা করে আসছিল ও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলায় এই ঔষুধ সরবরাহ করছেন।মাগুরা সিভিল সার্জন শহিদুল্লাহ দেওয়ান বলেন প্রাথমিক অবস্থায় তাকে মৌখিক সতর্ক করা হয়েছে ও ক্লিনিকটি সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে , এরপরও পরবর্তীতে এই যৌন সুড়সুড়ি ভিডিও পোস্ট করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এম/এস