• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন

মহেশখালীতে বিধবা মহিলার বসত ভিটার জমি দখলেন অভিযোগ

হ্যাপী করিম (মহেশখালী) কক্সবাজার: / ৩১৩ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১

মহেশখালী উপজেলার হোয়ানকের জৈয়ারকাটা গ্রামে পৈত্রিক ভিটা থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা ও দখলের অভিযোগ করেছেন জৈয়রকাটা গ্রামের মৃত মনচুর আলী’র কন্যা জোহরা খাতুন (৭০) তিনি দাবী করেন বহু বছর থেকে পৈত্রিক ভাবে প্রাপ্ত বসত ভিটা জমির উপর বাড়ীঘর নিয়ে বসবাস করেন বয়োবৃদ্ধ বিধবা জোহরা খাতুন।

জোহরা খাতুন স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, তার এই জমি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করছেন বারঘর পাড়া গ্রামের দুলা মিয়া’র পুত্র ছলিম উল্লাহ। তিনি বলেন, জমি আমার পিতা মৃত মনচুর আলীর আমার পিতা ও স্বামীর জীবদ্বসায় থেকে অধ্যবদি পর্যন্ত আমি জোহরা খাতুন এক কন্যা ও এক ছেলেকে নিয়ে দীর্ঘ যুগ যুগ বছর ধরে বসবাসরত ভাবে ভোগ দখল করে আসছি। অভিযোগকারী জোহরা খাতুন আরও বলেন ২০২০ সালে তার ভাইয়ের সাথে ঐ জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে শালিসকার হিসাবে স্থানীয় ছলিম উল্লাহ কে তার পক্ষ নেয়। তখন সময় শালিস বিচারের জন্য একটি কাগজে টিপ সহি নেয় ছলিম উল্লাহ। শালিসের রায় লিখে দিবে বলে আজ দেব কাল দেব বলে কাল ক্ষেপন করতে থাকে। জোহরা বলেন,এই জমি মৃত বাবা বা আমি কোন ব্যক্তির নিকট বিক্রি নাই, খাস জমিটি মহেশখালীর প্রধান সড়কের সাথে হওয়ায় লোভ দৃষ্টি পড়ে ছলিম উল্লাহ,র গত এক মাস পূর্ব থেকে জোহরা তার বসত ঘরের উঠানে একটি ঘর নির্ম্মান করতে চাইলে বাধা হয়ে দাড়ায় শালিসকার ছলিম উল্লাহ। আজ ১১ডিসেম্বর সকালে বৃদ্ধ মহিলাটির মেয়ে দোকান তৈরী করার জন্য শ্রমিক দিয়ে কাজ করার সময় ছলিম উল্লাহ নির্মান শ্রমিকদের তাড়িয়ে দেয় ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। জমির কোন কাগজপত্র না থাকা সত্ত্বেও উচ্ছেদের আমার ও মেয়ের উপর ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করছেন। তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে ও কোন সুরাহা পাচ্ছে না বিধবা জোহরা। জমির প্রকৃত দাবিদার জোহরা খাতুন আরো জানান, বিবাদীর ওই জমির কোনো কাগজপত্র না থাকা সত্ত্বেও তারা সম্পূর্ণ প্রভাব খাটিয়ে তার পৈত্রিক জমি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি মহেশখালী থানা প্রশাসন ও সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে তার দখলে থাকা পৈত্রিক ভিটার বিষয়ে সুষ্ঠ সমাধানের আবেদন জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছলিম উল্লাহ জমি থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন জোহরা খাতুন নিকট থেকে ওই জমি আমি নোটারী পাবলিক মূলে ১৩ আগস্ট ২০২০সালে ২লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকায় ক্রয় করেছি। তিনি আরও স্থানীয় আইন আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবেন তিনি তা মেনে নিবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ