• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন

ধ্বংসের পথে সুজানগরের জমিদার আজিম চৌধুরীর বাড়ি

স্টাফ রির্পোটারঃ / ২২৫৭ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

পাবনার সুজানগরের খ্যাতিমান জমিদার আজিম চৌধুরীর ঐতিহ্যবাহী বাড়ি ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছে। বাড়িটি দেখতে এখন আর পর্যটকরা ভীড় করেন না। এমনকি চৌধুরী বাড়ির সেই নাম আর খ্যাতিও নেই। 

আনুমানিক আড়াই‘শ বছর আগে উপজেলার দুলাই গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন জমিদার আজিম চৌধুরী। যখন এ দেশে একটি একতলা পাকা ভবন নির্মাণ করা ছিল স্বপ্ন দেখার মতো, সে সময় জমিদার আজিম চৌধুরী দুলাই’র মতো নিভৃত পল্লীর বাড়িতে নির্মাণ করেন রাজপ্রাসাদতুল্য দ্বিতল বিশিষ্ট একাধিক দৃষ্টিনন্দন এবং বিলাশবহুল ভবন।

দুলাই ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান জানান, ১২০ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত ঐ বাড়িটি ছিল দেশি বিদেশী গাছপালায় আবৃত্ত। আর অত্যাধুনিক ডিজাইনের ঐ বাড়িতে ছিল ১১টি নিরাপত্তা গেট। বাড়িতে প্রবেশের প্রথম গেটে দু’টি আধুনিক স্বয়ংক্রিয় কামান রাখার পাশাপাশি দু’টি বিশাল আকৃতির হাতি দ-ায়মান রাখা হতো। হাতি দু’টি জমিদার বাড়ির নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার করা ছাড়াও জমিদার আজিম চৌধুরীর ভ্রমণের কাজে ব্যবহার হতো। সেই সঙ্গে জমিদার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য বাড়ির চারদিকে খনন করা হয়েছিল বিশাল নিরাপত্তা দীঘি।

এ ছাড়া বাড়ির অভ্যন্তরে জমিদার পরিবারের গোসলের জন্য খনন করা হয়েছিল একটি পুকুর আর জমিদার দরবারে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গোসলের জন্য বাড়ির বাইরে খনন করা হয়েছিল একটি বিশাল পুকুর। সেই সঙ্গে বাড়ির পাশেই নামাজ আদায়ের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ।

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বাদশা জানান, জমিদার আজিম চৌধুরীর বাড়িটি ছিল যেন পর্যটন কেন্দ্র। প্রতিদিন শত শত নারী-পুরুষ দৃষ্টিনন্দন বাড়িটি দেখতে ভীড় করতেন। আবার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাড়িটিতে শিক্ষা সফরেও আসতেন।

কিন্তু কালের পরিক্রমায় জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত তথা জমিদার আজিম চৌধুরী মারা যাওয়ায় বাড়িটি আজ ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসীর কাছে এক সময়ের মনোমুগ্ধকর দৃষ্টিনন্দন জমিদার বাড়িটি এখন শুধুই স্মৃতি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রওশন আলী বলেন বাড়িটি জমিদার পরিবারের সদস্যদের দখলে রয়েছে। সেকারণে সরকারিভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব নয়। জমিদার পরিবারের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আহসান জান চৌধুরী বলেন বাড়িটি পরিবারের একাধিক সদস্যর মালিকানায় থাকায় ঐতিহ্য রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছেনা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ