• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৫ অপরাহ্ন

পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধে ধ্বস

আবুল হোসেন, রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ / ২২০ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বুধবার, ২৮ জুলাই, ২০২১

রাজবাড়ীতে চলমান পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীর প্রতিরক্ষা (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের কাজ শেষ না হতেই ধস শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার গোদার বাজার অংশের এনজিএল ইট ভাটার পূর্ব ও পশ্চিম পাশের্^র ২শ মিটার অংশের পিচিং ব্লক ধসে যায়। ভাঙ্গন স্থান হতে বাঁধের দূরত্ব মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিটারের মত। এতে নদী তীরবর্তী এলাকাবাসী রয়েছে নদী ভাঙ্গন আতঙ্কে।

জানা গেছে, ভাঙন রোধে ২০১৮ সালের জুন মাসে রাজবাড়ীর পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীর প্রতিরক্ষার কাজ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাটে তিন ও মিজানপুরে দেড় কিলোমিটারসহ সাড়ে চার কিলোমিটার এবং ২০১৯ এর জুলাইয়ে শুরু হওয়া (প্রথম সংশোধিত) শহর রক্ষা বাঁধের গোদার বাজার অংশের আড়াই কিলোমিটারসহ মোট সাত কিলোমিটার এলাকায় ৪৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এতে দ্বিতীয় পর্যায়ের সাড়ে চার কিলোমিটারে ৩৭৬ কোটি ও প্রথম সংশোধিত ১৫২৭ মিটারে ৭৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়। প্রকল্পের জন্য ৮.৩ কিলোমিটার অংশে ৪৯ লক্ষ ঘনমিটার ড্রেজিং করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. মিলন অভিযোগ করে বলেন, শহর রক্ষা বাঁধের কাজে ত্রু‌টি রয়েছে। ফলে গোদার বাজারের একটু উজানে মিজানপুরের চরসিলিমপুরে নদীর ডান তীর প্রতিরক্ষা কাজের বøক দুই মাস না যেতেই তিনটি স্থান ধসে গেছে।

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, স্রোত বাড়লে ভাঙনের তীব্রতাও বাড়বে। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা সংস্কার না করা হলে রাজবাড়ী শহর তলিয়ে যাবে। আসলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিতেই এ ভাঙ্গন। কোটি টাকা ব্যয় হলেও ভাঙ্গন রোধ হচ্ছেনা তাদের উদাসিনতায়। সন্ধ্যার একটু পর থেকে সকাল পর্যন্ত ভাঙ্গনে প্রায় ২শ মিটার অংশের পিচিং ব্লক ধসে যায়।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ এবং আতঙ্ক আমলে না নিয়ে রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আব্দুল আহাদ জানান, ভাঙ্গনের খবর পেয়ে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি এবং দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে জিও টিউব ও জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করেছি। এ কাজের জন্য ২০১৬-১৭ সালে ডিজাইন করা হয়। তখন নদীর যে গতিপথ বা অবস্থা ছিল এখন সেটা নাই। হয়তো সে কারণেই ব্লক ধ্বস দেখা দিয়েছে। তিনি আরো জানান, এলাকাবাসীর আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। আমরা কাজ করছি। আমরা যত দ্রুত সম্ভব এই জায়গাটি মেরামত করে ফেলব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ