• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৭ অপরাহ্ন

ছাগলনাইয়ার ঘোপাল ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিক’র বিরুদ্ধে গৃহবধুর সংবাদ সম্মেলন

ফেনী সদর প্রতিনিধি : / ৭৭০ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বুধবার, ২৪ মার্চ, ২০২১

 

ছাগলনাইয়া উপজেলার ১০ নং ঘোপাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, প্রতারণা, হয়রানি, সাজানো মামলায় ফাঁসানো ও হুমকি ধামকির অভিযোগ এনে ও বিচার দাবীতে গৃহবধু রেহানা আক্তার সুমী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের একটি হোটেলে রেহানা আক্তার সুমী সংবাদ সম্মেলনে তার বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রতারণা, নির্যাতন, নিপীড়ন, হুমকি ধামকি ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি ও ফেনী প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন। রেহানা আক্তার সুমী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা পিটিশন মামলা সিআইডির কাছে হস্তান্তরও দাবী জানান।

লিখিত বক্তব্যে রেহানা আক্তার সুমী বলেন, ঘোপাল ইউনিয়নের মুহুরীগঞ্জে আমার স্বামীর বাড়ী। দাম্পত্য জীবনে অশান্তি ও স্বামীর বেপরোয়া জীবনের প্রতিকার চেয়ে ছাগলনাইয়া ১০ নং ঘোপাল ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিকের শরণাপন্ন হই। এটাই আমার জীবনের কাল হয়েছে। চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিক আমাকে বিয়ের মিথ্যা আশ^াস দিয়ে টানা ৩ বছর ধর্ষণ করেছে। আমাকে বিয়ে না করে চলচাতুরির মাধ্যমে আমার সর্বস্ব লুটে নিয়ে আমাকে মেরে ফেলতে ষড়যন্ত্র করে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্নভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। পরে আমাকে ফেনীর পেট্রেবাংলার একটি বাসায় মানিকের ক্যাডার বাদশা-১, বাদশা-২, এনাম ফারুক সবুজকে দিয়ে দেড়মাস আটকিয়ে রাখে। এরপর মানিক আমাকে ঢাকায় নেওয়ার কথা বলে তার গাড়ীতে করে ময়মিনসিংহের ফুলপুর উপজেলার একটি নিভৃত পল্লীতে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আমাকে ভারতে পাচার করার ষড়যন্ত্র করে। এর আগে ঘোপালে বালুমহাল’র প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারিতে এক প্রবাসী বাদশার ক্যাডারদের হাতে নিহত হয়। ডিবি পুলিশ মোবাইল টেকিং এর মাধ্যমে আসামী ধরতে গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে।

ফেনীর পুলিশ কোর্য়াটারে আবদুর রহিম প্রকাশ আফছার (আজিজুল হক মানিকের পরিচিত) আমাকে তার বাসায় আটকিয়ে মানিকের নির্দেশে পতিতা বৃত্তিতে বাধ্য করার চেষ্টা করে। এরপর ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মানিকের ক্যাডার ইকবালের মাধ্যমে প্রাইভেটকার পাঠিয়ে আমাকে চট্টগ্রাম যেতে বলে।
আমি চট্টগ্রাম গেলে আজিজুল হক মানিক পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পুলিশের সাথে আঁতাত করে আমাকে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ফাঁসানো হয়। ঐ মামলায় আমি জেলে যাই। পরে জানতে পারি থানার তদন্তকারী অফিসার এই মামলায় আজিজুল হক মানিককে ২ নং আসামী ও ইকবালকে ৩ নং আসামী করে চার্জশীট প্রদান করে। বর্তমানে মানিক আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি ও হত্যা করে লাশ ঘুম করার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। আমি মানিকের কবল থেকে মুক্ত হতে ও ধর্ষণসহ নানারকম হয়রানির ন্যার্য বিচারের দাবাীতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ