• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিলো ভারত গরমের কারণে হাসপাতালগুলোতে বেড খালি রাখার নির্দেশনা মন্ত্রীর পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক; বরেণ্য রাজনীতিবিদ আ.ক.ম ইসহাক’র আজ ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী দূর্গম হরিনছড়ায় সাংগ্রাঁই  জলকেলি উৎসব উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান  রামগড়ে বৃষ্টি চেয়ে ইস্তিসকার নামাজে মুসল্লিদের বিশেষ দোয়া বাঙ্গালহালিয়া হাই-স্কুল মাঠে সাংগ্রাঁই জলকেলি উৎসবে নানা বয়সের কয়েক হাজার মানুষের উৎসবমুখর উপস্থিতি দুই দিনের রিমান্ড শেষে কেএনএফের ১০ আসামীকে কারাগারে প্রেরণ কাপ্তাইয়ে পুলিশী অভিযানে গাঁজাসহ স্বামী স্ত্রী আটক সেবা নিয়ে গুচ্ছ পরিক্ষার্থীদের পাশে পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটি মানিকছড়িতে ইস্তিসকার নামাজ আদায় ভোট কর্মকর্তাদের নিয়ে মানিকছড়িতে প্রশিক্ষণ কর্মশালা

ত্রাণ না নিয়ে আমরা ভুল করেছিলাম

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা, লামা / ৪২৯ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : সোমবার, ৯ মে, ২০২২

ওদিন আমাদের মন মর্জি ভালো ছিলনা, তাই আমরা ত্রাণ গুলো নেয়নি। আমরা ভুল করেছিলাম। সরকারি লোকজনের পাশে রাবার কোম্পানির লোকজন দেখে আমরা ত্রাণ গুলো নেয়নি। আজ ত্রাণ পেয়ে আমরা খুশি। সোমবার লামার সরই ইউনিয়নের দুর্গম লাংকম ম্রো পাড়ার কারবারী লাংকম ম্রো (৩৬) সহ তিন পাড়ার লোকজন উপজেলা প্রশাসনের দেয়া ত্রাণ সামগ্রী গ্রহণকালে এমনভাবে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন।

সোমবার (০৯ মে ২০২২ইং) বিকেল সাড়ে ৪টায় লামা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের পক্ষে আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সরই ইউনিয়নের লাংকম ম্রো পাড়া, জয়চন্দ্র ত্রিপুরা পাড়া এবং রেংয়ান ম্রো পাড়ার ৩৬ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময় স্থানীয় ইউপি মেম্বার মেনওয়াই ম্রো ও তিন পাড়ার কারবারী সহ তিন পাড়ার লোকজন উপস্থিত হয়ে ত্রাণ সামগ্রী গ্রহণ করেন।

ত্রাণ পেয়ে লাংকম পাড়ার সংলে ম্রো (৪০) বলেন, আমরা ত্রাণ পেয়ে খুশি। জয়চন্দ্র ত্রিপুরা পাড়ার হামমতি ত্রিপুরা (৫০) বলেন, আমরা জয়চন্দ্র ত্রিপুরায় আসছি ৭ বছর হবে। আগে কাঁঠালছড়া ত্রিপুরা পাড়ায় ছিলাম। আমাদের বাগান আগুনে পুড়ে গেছে। লাংকম পাড়ার রুইপাও ম্রো (৩০) বলেন, ওদিন ইউএনও স্যারের পেছনে কোম্পানির লোকজন ছিল। তাই আমরা ভেবেছি এগুলো লামা রাবারের সহায়তা। তাই গ্রহণ করেনি। লাংকম পাড়ার বুইলি ম্রো (৩৫) বলেন, আগুনে আমার আনারস ও মিশ্র ফলের বাগান পুড়ে গেছে। ঋণ করে আমরা বাগান করেছি।

রেংয়ান ম্রো পাড়ার কারবারী রেংয়ান ম্রো বলে, প্রায় ৩৬টি পরিবার খাদ্য এবং খাবার পানির তীব্র সংকটে আছে। লামা উপজেলা প্রশাসন খাদ্য সহায়তা দেয়ায় আমরা খুশি। এইভাবে আমরা প্রশাসনকে পাশে চাই।

লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল বলেন, তিন পাড়ার কারবারী ও লোকজনকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে। ত্রাণ নেয়া ও তাদের যাওয়ার জন্য গাড়ি রিজার্ভ করে দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের পাশে আমরা আছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন, ত্রাণ গুলো ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। বান্দরবান জেলা প্রশাসকের পক্ষে আমি ত্রাণ গুলো ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের হাতে তুলে দিয়েছি। প্রতি পরিবারকে চাল ১০ কেজি, ডাল ৫০০ গ্রাম, লবণ ৫০০ গ্রাম, পানি বোতল ২ লিটার, মুড়ি ১ কেজি, চিড়া ১ কেজি দেয়া হয়েছে। আমাদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

এম/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ