• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল বেলকুচি উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে নিজকে গড়ে তুলে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভুমিকা রাথতে হবে -বাবুল দাস কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে লজ্জাবতী বানর অবমুক্ত কাপ্তাই বিএসপিআই শিক্ষার্থীদের ওপর ফের হামলা, ৪ জন আহত এম কে বাঘাবাড়ী ঘি কোম্পানির উৎপাদনকারী মো: কামাল উদ্দিনের ১ বছরের কারাদণ্ড কোটা সংস্কারের দাবিতে  কাপ্তাই বিএসপিআই এ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল দিনেদুপুরে কৃষকের বাড়িতে হামলা লুটপাট রাঙামাটি সদর জোনের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান আলীকদম সেনা জোন কর্তৃক মানবিক সহায়তা প্রদান পানছড়ি মাদ্রাসায় অব্যবস্থাপনা ও অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন খাগড়াছড়িতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

লামায় জব্দ অবৈধ পাথরের নিলাম নিয়ে খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর লুকোচুরি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা, লামা / ২৮৩ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

পার্বত্য বান্দরবানের লামার ফাঁসিয়াখালীর বনপুর ও আলীকদমের আবাসিক এলাকা নামক স্থানে অবৈধভাবে আহরিত আড়াই লক্ষাধিক ঘনফুট পাথর গোপনে সিন্ডিকেটের নিকট বিক্রি করে দিয়েছেন খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহা-পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. নুরুন্নবী। এই ঘটনায় চরম বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে স্থানীয় জেলা এবং উপজেলা প্রশাসন।

স্থানীয় প্রশাসনের অভিযোগ, জব্দকৃত পাথর প্রকৃত পরিমান গোপন করা হয়েছে কথিত এই নিলাম কার্যক্রমে। বিধি মোতাবেক নিলামের বিষয়টিও জানানো হয়নি স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদেরকে। যার কারণে বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার।

যদিও খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহা-পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. নুরুন্নবী এই নিলাম কার্যক্রম পরিচালনাকে ভুল বোঝাবুঝি বলে দাবি করছেন। তিনি বলেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের চারটি জায়গায় ১ লক্ষ ১৬ হাজার ২০০ শত ঘনফুট পাথর নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। তবে অভিযোগ উঠায় পাশ্ববর্তী আলীকদম উপজেলার ৪৫ হাজার ঘনফুট পাথরের নিলাম কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বছর ৭ মার্চ লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৫টি জায়গা থেকে ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৫ শত ঘনফুট পাথরজব্দ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (১১ বিজিবি)। এরমধ্যে বড় মার্মা পাড়ায় ৬৯ হাজার, ওয়াক্রা পাড়ায় ১ লক্ষ, রামগতি পাড়ায় ২৩ হাজার ৫ শত, কড়ইতলী ১৫ হাজার এবং গয়াল মারায় ১০ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়। একইভাবে পাশআববর্তী আলীকদমের আবাসিক এলাকায় ৪৫ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী এসব পাথর পাহাড় কেটে এবং ঝিরি খননকরে অবৈধভাবে উত্তোলনপূর্বক পাচারের জন্য সেখানে জমা করে। যার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ৮০ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা বলে বিজিবি সূত্র জানিয়েছে। জব্দকৃত পাথরের মামলা বিধি মোতাবেক নিষ্পত্তি করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে গত বছর ০৮ মার্চ বান্দরবান জেলা প্রশাসককে লিখিত পত্র পায়ায় বিজিবি নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন’র উপ-পরিচালক মু. জাহিদুল ইসলাম ভূঁঞা। পরে বান্দরবান জেলা প্রশাসক ২৮ সেপ্টেম্বর এক পত্র মূলে এসব পাথর নিলামে বিক্রয় করার জন্য লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দায়িত্বদেন।

লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার আপ্রুছিং মার্মা ও সাংগু মৌজার হেডম্যান চংপাত ম্রো জানান, খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর এক কর্মকর্তা গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বনপুর এলাকায় গিয়ে একটি সিন্ডিকেটের কাছে পাথরগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন। একই দিন বিকালে আলীকদমে গিয়ে সেখানকার ৪৫ হাজার ঘনফুট পাথরও সমঝোতার মাধ্যমে কথিত নিলাম প্রদান করেন। তবে জব্দকৃত পাথরের পরিমাণ কম দেখানো, স্থানীয় ব্যবসায়িরা না জানা এবং প্রতিযোগিতামূলক নিলাম না হওয়ার কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার জানান, খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালক ফাঁসিয়াখালীর বনপুর এলাকায় পরিদর্শনকালে তাকে বিধি মোতাবেক প্রটোকল দেওয়া হয়েছে। তবে পাথর নিলামের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত না করেই সম্পন্ন করে। পরে বিষয়টি জেনে বান্দরবান জেলা প্রশাসক এর নির্দেশে খনিজসম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর বিতর্কিত এই নিলাম কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ