• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল বেলকুচি উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে নিজকে গড়ে তুলে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভুমিকা রাথতে হবে -বাবুল দাস কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে লজ্জাবতী বানর অবমুক্ত কাপ্তাই বিএসপিআই শিক্ষার্থীদের ওপর ফের হামলা, ৪ জন আহত এম কে বাঘাবাড়ী ঘি কোম্পানির উৎপাদনকারী মো: কামাল উদ্দিনের ১ বছরের কারাদণ্ড কোটা সংস্কারের দাবিতে  কাপ্তাই বিএসপিআই এ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল দিনেদুপুরে কৃষকের বাড়িতে হামলা লুটপাট রাঙামাটি সদর জোনের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান আলীকদম সেনা জোন কর্তৃক মানবিক সহায়তা প্রদান পানছড়ি মাদ্রাসায় অব্যবস্থাপনা ও অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন খাগড়াছড়িতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ত্রাণ না নিয়ে আমরা ভুল করেছিলাম

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা, লামা / ৪৫৫ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : সোমবার, ৯ মে, ২০২২

ওদিন আমাদের মন মর্জি ভালো ছিলনা, তাই আমরা ত্রাণ গুলো নেয়নি। আমরা ভুল করেছিলাম। সরকারি লোকজনের পাশে রাবার কোম্পানির লোকজন দেখে আমরা ত্রাণ গুলো নেয়নি। আজ ত্রাণ পেয়ে আমরা খুশি। সোমবার লামার সরই ইউনিয়নের দুর্গম লাংকম ম্রো পাড়ার কারবারী লাংকম ম্রো (৩৬) সহ তিন পাড়ার লোকজন উপজেলা প্রশাসনের দেয়া ত্রাণ সামগ্রী গ্রহণকালে এমনভাবে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন।

সোমবার (০৯ মে ২০২২ইং) বিকেল সাড়ে ৪টায় লামা উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের পক্ষে আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সরই ইউনিয়নের লাংকম ম্রো পাড়া, জয়চন্দ্র ত্রিপুরা পাড়া এবং রেংয়ান ম্রো পাড়ার ৩৬ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময় স্থানীয় ইউপি মেম্বার মেনওয়াই ম্রো ও তিন পাড়ার কারবারী সহ তিন পাড়ার লোকজন উপস্থিত হয়ে ত্রাণ সামগ্রী গ্রহণ করেন।

ত্রাণ পেয়ে লাংকম পাড়ার সংলে ম্রো (৪০) বলেন, আমরা ত্রাণ পেয়ে খুশি। জয়চন্দ্র ত্রিপুরা পাড়ার হামমতি ত্রিপুরা (৫০) বলেন, আমরা জয়চন্দ্র ত্রিপুরায় আসছি ৭ বছর হবে। আগে কাঁঠালছড়া ত্রিপুরা পাড়ায় ছিলাম। আমাদের বাগান আগুনে পুড়ে গেছে। লাংকম পাড়ার রুইপাও ম্রো (৩০) বলেন, ওদিন ইউএনও স্যারের পেছনে কোম্পানির লোকজন ছিল। তাই আমরা ভেবেছি এগুলো লামা রাবারের সহায়তা। তাই গ্রহণ করেনি। লাংকম পাড়ার বুইলি ম্রো (৩৫) বলেন, আগুনে আমার আনারস ও মিশ্র ফলের বাগান পুড়ে গেছে। ঋণ করে আমরা বাগান করেছি।

রেংয়ান ম্রো পাড়ার কারবারী রেংয়ান ম্রো বলে, প্রায় ৩৬টি পরিবার খাদ্য এবং খাবার পানির তীব্র সংকটে আছে। লামা উপজেলা প্রশাসন খাদ্য সহায়তা দেয়ায় আমরা খুশি। এইভাবে আমরা প্রশাসনকে পাশে চাই।

লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল বলেন, তিন পাড়ার কারবারী ও লোকজনকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে। ত্রাণ নেয়া ও তাদের যাওয়ার জন্য গাড়ি রিজার্ভ করে দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের পাশে আমরা আছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন, ত্রাণ গুলো ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। বান্দরবান জেলা প্রশাসকের পক্ষে আমি ত্রাণ গুলো ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের হাতে তুলে দিয়েছি। প্রতি পরিবারকে চাল ১০ কেজি, ডাল ৫০০ গ্রাম, লবণ ৫০০ গ্রাম, পানি বোতল ২ লিটার, মুড়ি ১ কেজি, চিড়া ১ কেজি দেয়া হয়েছে। আমাদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

এম/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ