• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
বেড়াতে আসুন রূপের রাণী বান্দরবানে লামায় কার্প জাতীয় মাছের মিশ্রচাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ ইতিহাদ এর উদ্যোগে লামায় জাতীয় মেধাবৃত্তি পরীক্ষা-২০২৪ অনুষ্ঠিত সরকারি পুকুরে মাছ শিকারের অভিযোগে লক্ষ টাকা জরিমানা করল উপজেলা প্রশাসন আগামীকাল শনিবার কাপ্তাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে জোন কমাণ্ডার’স স্কলারশিপ: অংশ নিচ্ছেন ৫১২ জন শিক্ষার্থী খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব’র অন্তবর্তীকালীন কমিটির সাধারণ সভা ও পার্বত্যাঞ্চলের গুণী সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত নদীর পাড়ে তামাক চাষ বন্ধে বিএটিবি’র কৃষক সমাবেশ আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবিতে মানিকছড়িতে ইউপিডিএফের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ বান্দরবানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বই ও শিক্ষা উপকরণ উপহার প্রদান চাঁদার টাকা না দিলে হামলা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে -সন্ত্রাসী রকি গ্রুপ ১ যুগ পর মহালছড়ি গণতান্তিক উপায়ে বাজার ব্যবসায়ী কমিটি গঠন ওলামা বাজার মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলন

বান্দরবান উন্নয়ন বোর্ডের সেতুতে উঠতে হয় বাঁশের সাঁকো দিয়ে

বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি: / ২৫২ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : সোমবার, ১৫ আগস্ট, ২০২২

বান্দরবানে উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে চলাচলের সুবিধার জন্য সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় ভোগান্তিতে রূপ নিয়েছে সেতুটি।

শনিবার (১৩ আগস্ট) সকালে বান্দরবান সদর উপজেলার রাজভিলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কেংড়াছড়ি পাড়া এলাকায় গিয়ে কেংড়াছড়ি খালের উপর নির্মিত সংযোগ সড়ক বিহীন এমন একটি সেতু দেখা যায়। যা যাতায়াতের জন্য পাড়াবাসীদের স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করা হয় বাঁশের সাঁকো দিয়ে সংযোগ সড়ক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেংড়াছড়ি পাড়ায় ৬০ পরিবারের বসবাস। এদের মধ্যে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাও রয়েছে প্রায় ৪০ জনের অধিক। পাড়াবাসীদের চলাচলের সুবিধার্থে পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ২০১৮- ১৯ অর্থ বছরে ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হলেও আজ প্রায় তিন বছর পরেও কোন সংযোগ সড়ক না থাকায় পাড়াবাসীদের দূর্ভোগের কারন হয়ে উঠেছে এটি।

এছাড়া নিয়ম অনুযায়ী কাজ না করে শুধু মাত্র সেতুর পশ্চিম পাশে কোন রূপ গার্ড ওয়াল না দিয়ে একদিকে মাটি ভরাট করে দায় সারিয়ে অফিস ম্যানেজ করে কাজের সম্পূর্ণ বিল উঠিয়ে নিয়েছে ঠিকাদার আরিফ। যা বৃষ্টির পানিতে অর্ধেকের বেশি অংশ ভেঙ্গে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সরকারি প্রকৌশলী সোমনাথ চৌধুরীকে কয়েকবার জানানো হলেও তিনি কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। সর্বশেষ গত কয়েক দিন আগে যোগাযোগ করা হলে তিনি বরাদ্দ না থাকায় এই প্রকল্পের কাজ আর করা যাবে না বলে জানান স্থানীয়দের।

পাড়ার ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অনিষা তঞ্চঙ্গ্যা জানান, শুষ্ক মৌসুমে খালে পানি না থাকায় সেতুর নিচ দিয়ে হেঁটে পারাপার হয়ে স্কুলে যেতেন। এখন বর্ষায় খালে পানি বেশী হওয়ায় হেটে পার হওয়া যায়না। বৃষ্টি বেশী হলে অনেক দিন স্কুলেও যাওয়া যায় না। তাই পাড়াবাসীরা মিলে সেতুতে উঠার জন্য বাঁশের বেড়া দিয়ে সংযোগ তৈরি করেছে গতকাল।
পাড়ার আরেক বাসিন্দা ধর্ম চরণ তঞ্চঙ্গ্যা জানান, তিন শতাধিক জনগন ও ৪০ জনের অধিক স্কুল পড়ুয়া কোমল মতি শিশু রয়েছে এই কেংড়াছড়ি পাড়াতে। বর্ষায় খালটি পারাপার হতে অনেক সমস্যা হয় সবার। উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত অসম্পূর্ণ সংযোগ সড়ক বিহীন এই সেতুটি দূর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই পাড়াবাসীরা স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে সেতুটি ব্যবহার করতে বাঁশ দিয়ে পাটাতন তৈরি করেছে খালটি পারাপারের জন্য।

রাজবিলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ক্য অং প্রু মারমা জানান, কেংড়াছড়ি খালের উপর সংযোগ সড়ক বিহীন উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে নির্মিত সেতুটি ব্যবহারের অনুপযোগী ছিল। এনিয়ে উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীর সাথে কথা হয়েছে। দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মান করে সেতুটি ব্যবহারের উপযোগী করে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন এবং চলতি মাসের গত সপ্তাহে সংযোগ সড়ক নির্মাণের দ্বায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রতন সেন এর স্বত্বাধিকারী রতন সেন জানান, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে তার লাইসেন্সে ৩৬ নাকি ৩৭ লাখ টাকা উন্নয়ন বোর্ডের বরাদ্ধে রাজবিলার কেংড়াছড়ি খালের উপর ঠিকাদার আরিফ সেতুটি নির্মাণ করেছিল। কাজ শেষ হওয়ার ফাইনাল বিলও উত্তোলন করা হয়েছে। জামানত উত্তোলনের প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার আরিফ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, দৈর্ঘ্য ৫০ফিট ও প্রস্থ ১০ ফিট ব্রিজটি নির্মানের বরাদ্দটি তৈরিতে উন্নয়ন বোর্ড ভুল করায় সংযোগ সড়কসহ পূর্ণাঙ্গ সেতুর কাজ করতে পারিনি। তবে কাজের বিল উঠিয়ে নিয়েছেন তিনি।

বান্দরবান পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন ইয়াছির আরাফাত জানান, প্রথমে এটি কালভার্ট চেয়েছিল স্থানীয়রা। পরে পর্যবেক্ষণ করে ব্রীজের অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্রীজের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় ঠিকাদারকে ৪০ লাখ টাকার সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করা হয়। সংযোগ সড়কের জন্য চলতি বছরের মার্চ মাসে আরো ২০ লাখ টাকা এপ্রোজ করা হয়। যেটি ক্য অং প্রু পেয়েছে। আজ (রবিবার ১৪ আগষ্ট) থেকে কাজ চলছে।
এম/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ