স্বাধীন বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী মেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘দলমত নির্বিশেষে সরকার সবার ঠিকানা নিশ্চিত করবে।’ সেজন্য যেসব গৃহহীন পরিবার আছে তাদের তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ২৬ হাজার ২২৯টি গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীন দেশে কেউ যেন ভূমি ও ঠিকানাহীন না থাকে সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। প্রতিটি মানুষ যেন বসবাস করতে পারে, সেজন্য একটা জায়গা করে দেওয়া হবে। এটা প্রথম করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল বাংলার মানুষ খাদ্য পাবে, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান পাবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘ঘর পাওয়ার পর মানুষের মুখে যে হাসি এর চেয়ে বড় কিছু পাওয়ার থাকে না।’
অনুষ্ঠানে পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাসহ ৫২ উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে দেশব্যাপী মোট ৬৭ হাজার ৮০০টি ঘর দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে এবং বাকি আট হাজার ৬৬৭টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২০২২ পর্যন্ত এক লাখ ৮৫ হাজার ১২৯টি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি, ৬৩ হাজার ৯৯৯ গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার তাদের মাথার ওপর ছাদ পায়। আর গত বছরের ২০ জুন আশ্রায়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৩০টি পরিবার ঘর পায়।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে সরকার ঘরগুলোকে অধিকতর টেকসই ও জলবায়ু সহিষ্ণু করে গড়ে তুলতে ঘরগুলোর নকশা পরিবর্তন করে। এতে ঘরগুলোর নির্মাণ খরচ বেড়ে যায়।
ঘরগুলোকে অধিকতর টেকসই করে গড়ে তোলায় প্রতিটি ঘরের নির্মাণব্যয় এক লাখ ৯১ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে দুই লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত হয়।
ঘূর্ণিঝড় কিংবা বন্যার মতো যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়টি মাথায় রেখে বিশেষভাবে স্থানান্তরযোগ্য করে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।
এম/এস