পাহাড়ী জেলা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমি-পাকা ঘর পেল আরো দুইশত পরিবার। এ নিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলায় ৪শ ৬৯ টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবার খুজে পেল আপন ঠিকানা।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালী উপহারের ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠান শুভ উদ্বোধন করার পরপরই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এসব ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব।মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সুবাস চাকমা, মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা বেগম, মাটিরাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমজাদ হোসেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ওবায়দুল হক, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শেখ আশরাফ উদ্দিন ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
‘মুজিববর্ষে কেউ গৃহ ও ভূমিহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ঘোষণা বাস্তবায়নে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার’ হিসেবে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে মাটিরাঙ্গার দুইশ ভূমি-গৃহহীন মানুষের মাঝে ঘর উপহার দেয়ার কথা জানিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গৃহহীন মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন ও বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগের পাশাপাশি পুনর্বাসিতদের জন্য নিরাপদ সুপেয় পানির ব্যাবস্থা করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মিজ তৃলা দেব।
ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: রহমত উল্যাহ্, মাটিরাঙ্গা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হেমেন্দ্র ত্রিপুরা, আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গনি, বড়নাল ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াছ, গোমতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. তফাজ্জল হোসেন, তাইন্দং ইউপি চেয়ারম্যান পেয়ার আহমেদ মজুমদার ও উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ জানান, মাটিরাঙ্গায় আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ইতিপুর্বে ২শত ৬৯ টি পাকা ঘর প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ১ম ও ২য় পর্যায়ে ২শত ১৯টি গৃহ নির্মাণ করা হয়। ৩য় পর্যায়ের ১ম ধাপে আরো ৫০ সেমি পাকা ঘর নির্মান করা হয়। ৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপে আরো দুইশটি গৃহ জমিসহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এম/এস