ঈদুল আযহা সামনে রেখে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শান্তিপুর পশুরহাট। তবে ক্রেতার সমাগম ও বিক্রি জমে ওঠেছে বলে জানিয়েছেন বাজার সেক্রেটারি মোরশেদ আলম।
এছাড়া নিরাপদে হাট থেকে পশু কিনতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হাট কমিটি।
আজ সোমবার ভোর থেকেই ট্রাকে,পিক-আপে,দূরদূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে এই হাটে আসতে থাকে কোরবানির পশু।
শান্তিপুর হাট কমিটির ইজারাদার মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, পশুর হাটে ছিনতাই, জাল টাকা লেনদেন রোধে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।হাটে যেন পকেটমার ও বাটপার না আসতে পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা করেছি। যদি কোনো পশু অসুস্থ হয় তার চিকিৎসার জন্য ভেটেরিনারি ডাক্তারের একটা টিম রয়েছে।ব্যাপারিদের যেন কোনো প্রকার ভোগান্তি না পোহাইতে হয়, সে জন্য আমরা যথাসাধ্য পদক্ষেপ নিয়েছি।
হাটে পশুর সরবরাহ বাড়ায় দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। তারা জানান, হাটের গরুর দাম আগের তুলনায় তেমন বাড়েনি। বাজার দর স্বাভাবিকই রয়েছে।
তবে গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় লাভ হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কিত খামারি ও ব্যাপারীদের।কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় হতাশ বিক্রেতারা বলেন, গ্রামে গো- খাদ্য কেনা যায় না। আর বাজারে এসে কাঙ্ক্ষিত মূল্যে গরু বিক্রি করা যায় না। বর্তমানে হাটে বেচাকেনা বেশ খারাপ। দামও কম। ক্রেতা গরু দেখছে কিন্তু যে দাম হাঁকছে তাতে গরু বিক্রি করা যায় না। যে দামে গরু কিনেছি, তার থেকেও ২/৪ হাজার টাকা কম বলছেন তারা।
এম/এস