• শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
সোনাগাজীতে কৃষকদের মাঝে সার বীজ ও নগদ অর্থ  বিতরণ  গণপ্রকৌশল দিবস উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মাদ্রাসা শিক্ষা নৈতিক ও উত্তম চরিত্র গঠনেও ভূমিকা রাখে- ইউএনও মনজুর আলম মাটিরাঙ্গায় সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশের অভিযানে দুই বছর ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার বাঙ্গালহালিয়াতে রাধামদন গোপাল গিরিধারী সেবা কুঞ্জে অন্নকুট উৎসব সম্পন্ন রাজশাহী রেসিডেন্সিয়াল কলেজে নবীন বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা কাপ্তাইয়ে ইউএনও এর বিদায় সংবর্ধনা নেত্রকোনায় জননন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের ৭৬তম জন্মদিনে হিমু উৎসব জনগণের মন জয় করাই বিএনপি’র রাজনীতির লক্ষ্য মানিকছড়িতে ‘সম্প্রীতির বিশাল সমাবেশে’ ওয়াদুদ ভূঁইয়া গুইমারায় সেনাবাহিনীর উদ্যোগে মানবিক সহায়তা ও বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান খাগড়াছড়িতে মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে মাদকবিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

নবীনগরে ৩০ টি বাড়িঘর মেঘনা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে

সাধন সাহা জয় , নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: / ৩৩১ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : রবিবার, ৩ জুলাই, ২০২২

বাবারে আমার চারটা ঘরসহ ঘরের সকল মালামাল পানির নিচে দেখতে দেখতে তলিয়ে গেছে, কোন কিছুই রাখতে পারি নাই। কোন রকমে জীবন নিয়ে বেঁচে আছি, পড়নের এই কাপরগোলা ছাড়া আমার আর কোন কিছুই নাই। এখন পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় যাবো, কোথায় থাকবো, একমাত্র আল্লাই ভালো জানে। কান্না জড়িত কন্ঠে নদীর পাড়ে বসে এই কথা গুলো বলছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার মেঘনা তীরবর্তী চিত্রী কান্দা পাড়ার নদী ভাঙ্গনে সব কিছু হারানো ৭৫ বছরের বৃদ্ধ খোরশেদ আলম ।

নবীনগর উপজেলার মেঘনা তীরবর্তী গ্রামগুলোতে আবারও ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, শনিবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের চিত্রী গ্রামের কান্দাপাড়া ও দড়ি লাপাং গ্রামে চোখের পলকে ৩০ টি বাড়িঘর ও ঘরের ভিতর থাকা ধান, চাউল,আসবাবপত্র,বাড়ির গাছ পালা, ফসলী জমি জমা, বিদ্যুতের কয়েকটি খুটিসহ কয়েক কোটি টাকার মালামাল মেঘনার নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। অনেকে এক কাপর নিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে কোন রকমে জীবন বাঁচিয়েছেন।
রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়, মেঘনার করাল গ্রাসে ভাঙ্গনের কবলে পরে বাড়িঘড় হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে চিত্রি গ্রামের কান্দা পাড়ার খোরশেদ মিয়া, খায়েস মিয়া,হাছু মিয়া,শাহ আলম মিয়া, জালাল মিয়া, আবেদ মিয়া, বেদন মিয়া, আবু সালাম, মাহফুজ মিয়া, অলেক মিয়া, ওমর আলী, রুপ মিয়া, গোলাপ মিয়া, আমির হোসেন,বিল্লাল মিয়া,সুবুর খান,হান্নান মিয়া, সোরাফ মিয়ার পরিবারগুলো, বাড়িঘর হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে অনেকে।
নদী ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় চরম আতংক বিরাজ করছে ওই এলাকার জনবসতিদের মাঝে। বাড়ি ঘর ছেড়ে অনেকে অন্যত্র চলে যাচ্ছে পরিবার পরিজন নিয়ে। জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন রোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করা হলে স্কুল,মসজিদ,মাদ্রাসাসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়ে নবীনগর উপজেলার মানচিত্র পাল্টে যাওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক বলেন, ভাঙ্গন কবলিত এলাকা আমরা পরিদর্শন করে এসেছি, উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে, যাদের বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে তাদেরকে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার বিষয়ে আমরা কাজ করছি। তিনি আরও বলেন, ভাঙ্গন রোধ কল্পে এমপি মহোদয় একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, খুব দ্রæত কাজ শুরু হবে বলে আমরা আশা করছি।

এম/এস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ