খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নামে প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবকগন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মধ্য বেতছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিনাখি চৌধুরী দীর্ঘদিন যাবৎ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকলেও নিয়মিত বিদ্যালয়ে না আসা, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সহকারী শিক্ষক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবকদের সাথে খারাপ আচরণ সহ বিদ্যালয়ের ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা নিজের মোবাইল নাম্বারে নেয়া, বিদ্যালয় পরিচালনা গত কমিটির ফান্ডে জমাকৃত ৫৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ, প্রাক-প্রাথমিকের কোনো হিসাব না দেয়া, ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত বিদ্যালয়ের উন্নয়ন মূলক কাজের সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ, ২০২১-২২ অর্থবছরের পিইডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামত করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বরাদ্দকৃত ২ লক্ষ টাকার হিসেব না দিয়ে আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের বাঁশ, গাছ, কংক্রিট, বালু ও ঢেউটিন বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ, বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন না করে অর্থ আত্মসাৎ সহ প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিনাখি চৌধুরীর নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা চেয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবকগন উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিনাখি চৌধুরী তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের পূর্বের কমিটি সব সময় চেয়েছে বিদ্যালয়ের ফান্ড এবং সকল প্রকার বরাদ্দকৃত অর্থ প্রতিষ্ঠানের কাজ না করিয়ে আত্মসাৎ করতে যেখানে আমি কখনই মত প্রকাশ করিনি। বর্তমান কমিটি ওসভাপতি সহ সকলেই এবং বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. জালাল সহ বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত সকল অর্থ সকলে শেয়ার করে আত্মসাৎ করতে চাইলে আমি রাজি না হয়ে বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে সব সময় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন মূলক কাজ করেছি, যার ডকুমেন্টস আমার কাছে আছে। বর্তমান তাঁরা সকলে মিলে আমার বিরুদ্ধে ষরযন্ত্র করছে। এছাড়াও পূর্বের কমিটির সভাপতি মো. বাতেন এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. জালালের ব্যাপক খারাপ আচরণ ও অনিয়মের কথা জানান তিনি।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুস্মিতা ত্রিপুরা বলেন, প্রধান শিক্ষক মিনাখি চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবকগন লিখিত অভিযোগ করেছেন। এবিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এম/এস