পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই মন্তব্য করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব বলেছেন, তৃনমুল জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে আরো বেগবান করতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি একেকটি গাছ নগদ টাকার ব্যাংক বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
‘সবুজ বনায়ন-নির্মল পরিবেশ’ এ স্লোগানের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে সপ্তাহব্যাপি বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। বনায়ন এর সহযোগিতায় বৃক্ষরোপন কর্মসুচীর আয়োজন করে মাটিরাঙ্গার ব্যাতিক্রমী সামাজিক সংগঠন ‘বন্ধু জুনিয়র’।
একটি গাছ কাটলে কমপক্ষে তিনটি গাছ লাগানোর আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, অক্সিজেন ত্যাগ করে বৃক্ষই আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে সহায়তা করে। তিনি বলেন, আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন প্রয়োজন যা আমরা গাছ থেকে পাই, এজন্য বেশি করে গাছ লাগাতে হবে।
বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙ্গা রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আবছার হোসেন, বন্ধু জুনিয়রের সভাপতি মো. মামুনুর রশীদ মামুন, সাধারন সম্পাদক মো. জুলহাস উদ্দিন ও মো. ওমর ফারুক ছাড়াও স্কুলের শিক্ষক ও সংগঠনটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মাটিরাঙ্গা রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে বৃক্ষরোপণ কর্মসুচির উদ্বোধন শেষে স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে এক হাজার গাছের চারা বিতরণ করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব।
প্রসঙ্গত, সবুজ বেষ্টনি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সামাজিক সংগঠন বন্ধু জুনিয়র প্রতি বছরই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ করে থাকে। যার ধারাবাহিকতায় এবছর উপজেলার মাটিরাঙ্গা রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে বৃক্ষরোপন করা হয়।
বৃক্ষরোপন কর্মসুচীর অংশ হিসেবে আগামী সাত দিন উপজেলার সাতটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে সাত হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা বিতরন করা হবে বলে জানিয়েছেন সামাজিক সংগঠন বন্ধু জুনিয়রের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মো. মামুনুর রশীদ মামুন।
এম/এস