মহেশখালীতে শিপ্লব দে (১৬) নামে এক কিশোর’কে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত আসামী তাজুম উদ্দিন (২০) কে গ্রেপ্তার করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ। ১ জুন বুধবার দুপুরে ছোট মহেশখালী মোহাম্মদপুর তেলিপাড়া হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৩০ মে সোমবার বিকেলে শাপলাপুরের প্রধান সড়কে না’কাটা জিরি পাহাড়ী ডালায় থেকে শিপ্লব দে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।গ্রেপ্তারকৃত আসামী তাজুম উদ্দিন তেলিপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল হাই পিপিএম জানান, গত সোমবার (৩০ মে) সকাল নয়টার দিকে মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর সড়কের না’কাটা জিরি পাহাড়ী ডালায় একটি মরদেহ দেখতে পায় পান চাষীরা। পরে শিপ্লব দে পরিবারের লোকজন মরদেহটি দেখতে গেলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে মহেশখালী থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এই হত্যাকাণ্ডের পর দিন নিহতের পিতা জীবন কুমার দে বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় একই গ্রামের বীপ্রজিত দে(১৯) জাবেদ (২২), অন্তর দে’সহ অজ্ঞাত ৬/৭ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামীদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা তৎপরতায় নামে পুলিশ একটি দল। হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর প্রধান আসামি তার এক আত্মীয়ের বাসায় সপরিবারে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় আটক করে পুলিশ।
মামলার বাদীর বরাতে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল হাই পিপিএম বলেন, শিপ্লব দে সাথে আটক হওয়া তাজুম উদ্দিনের বন্ধুদের সাথে মনোমালিন্য ও অভ্যন্তরীন পূর্ব শত্রুতা ছিল। হত্যাকাণ্ডের শিপ্লব দে’কে মহেশখালী হাসপাতাল থেকে ছাগল দিবে বলে ডেকে নিয়ে যায় শাপলাপুরের প্রধান সড়কে না’কাটা জিরি পাহাড়ী ডালায় আসামীরা। পরে আসামীরা পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র চাকু দিয়ে কুপিয়ে ও গলাকেটে শিপ্লব দে’কে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। এই খুনে জড়িত তাজুম উদ্দিন, হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত টমটম গাড়ী, ভিকটিমের মোবাইল ফোন, স্যন্ডেল উদ্ধার আটক হয়েছে, অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে, মামলা বর্তমান তদন্তধীন।
এম/এস