লামায় নিশিরাতে জমি দখলের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৯ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে ভোর রাতে লামা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতরা লামা হাসপাতালে আন্তঃবিভাগে চিকিৎসাধীন। আজ শুক্রবার (০৩ জুন) রাত সাড়ে ৩টায় উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পূর্ব শিলেরতুয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তি ও প্রত্যেক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, পূর্ব শিলেরতুয়া বাজার সংলগ্ন একখন্ড জায়গা নিয়ে মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও মোঃ মুজিবুর রহমান পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। দু’পক্ষের মামলা থাকায় আদালতের নির্দেশে লামা থানা পুলিশ বিরোধীয় জায়গায় উভয় পক্ষকে যেতে নিষেধ করেছে। আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টায় মোঃ মুজিবুর রহমান ৪০/৪৫ জন ভাড়াটিয়া লোকজন ও স্বজনদের নিয়ে বিরোধীয় জায়গায় মোঃ সিরাজুল ইসলামের নির্মিত একটি ঘর ভেঙ্গে দখলমুক্ত করতে যায়। শব্দ শুনে মোঃ সিরাজুল ইসলাম তার মা, ভাই ও স্বজনদের নিয়ে বাঁধা দিতে আসে। এসময় মুজিবুর রহমান এর লোকজন তাদের উপর চড়াও হয়। দা, লাঠি, রড, হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে হামলা করে সিরাজুল ইসলাম সহ তার পক্ষের ৫ জনকে গুরুতর আহত করে। এসময় পাল্টা আঘাতে মুজিবুর রহমানের পক্ষেরও ৪ জন আহত হয়।
মোঃ সিরাজুল ইসলামের পক্ষের আহতরা হল, আমেনা বেগম (৭০), শারমিন আক্তার (২২), মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৪৩), রহমত আলী (৩০) ও মোঃ শাহজালাল। মুজিবুর রহমানের পক্ষের আহতরা হল, হোসনে আরা বেগম (৩৮), জোসনা বেগম (৫০), মিনহাজ উদ্দিন (৪৩) ও মুজিবুর রহমান।
মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, গভীর রাতে শব্দ শুনে আমি এগিয়ে যাই। দেখি অনেক লোকজন আমার নির্মিত ঘরটি ভেঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে। তখন আমি ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করি। আমার চিৎকারে আমার মা, ভাই ও স্বজনরা এগিয়ে আসে। মুজিবুর রহমান তার স্বজন ও ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে ঘর ভেঙ্গে জায়গা দখলের চেষ্টা করলে বাঁধা দিলে তারা আমাদের অমানবিকভাবে কুপিয়ে ও মারধর করে আহত করে। আমার ৭০ বছরের বৃদ্ধ মাকে কুপিয়ে ও হাতড়ি দিয়ে মেয়ে জখম করেছে। মোঃ মোকাররম, সোহেল, মুজিবর রহমান, মিনহাজ, আইয়ুব আলী, মোহাব্বত আলী, মোঃ শাকের, মেহরাজ, জোসনা বেগম, হোসনে আরা বেগম, হামিদ হোসেন, হুমায়ন, শারমিন আক্তার, জয়নাল আবেদীন, মোঃ হোসেন, সাকিব, কপিল, মোঃ হারুন সহ আরো অজ্ঞাতনামা ২০/২২ জন আমাদের উপর হামলা করে। সবার হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল।
১নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার আবু তাহের বলেন, ভোরে ঘটনাটি শুনেছি। দুইপক্ষের ৯ জনকে লামা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী সংঘর্ষের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আইনী সহায়তার প্রয়োজন হলে থানা আসতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এম/এস