খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার দুর্গম মাকুমতৈছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্গা শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করানোর অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাছমিন আক্তার সহ অন্যান্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাকুমতৈছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চার জন শিক্ষক কর্মরত থাকলেও অধিকাংশ সময়ই খাকেন অনুপস্থিত তবে প্রমোদ ত্রিপুরা ও হ্যাপী আকতার মাঝেমধ্যে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও অন্য দুইজন বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসেননা বললেই চলে। সহকারী শিক্ষক জয়নিকা ত্রিপুরা বর্তমানে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকে সামান্য বেতনে রাখা একজন বর্গা শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করাচ্ছেন।
জানা গেছে, ২০১১ সালের মাঝামাঝি এ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাছমিন আক্তার। তিনি সরকারী বরাদ্ধে নয়-ছয় করার পাশাপাশি নানা অজুহাতে বিদ্যালয়ে অনুপুস্থিত থাকেন। এজন্য খগেশ্বর ত্রিপুরা নামে স্থানীয় এক যুবককে তিন হাজার টাকা মাসিক বেতনে বর্গা শিক্ষক হিসেবে রেখেছেন। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হ্যাপি আক্তার ও প্রমোদ ত্রিপুরার পাশাপাশি বর্গা শিক্ষক খগেশ্বর ত্রিপুরা পাঠদান করাচ্ছেন।
সম্প্রতি সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গেলে এমন দৃশ্যের দেখা মিলে। সেখানেই কথা হয় বর্গা শিক্ষক খগেশ্বর ত্রিপুরার সাথে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছমিন আক্তার মাঝে মাঝে বিদ্যালয়ে আসেন জানিয়ে দায়িত্বরত বর্গা শিক্ষক খগেশ্বর ত্রিপুরা বলেন, নাছমিন ম্যাডামই আমাকে স্কুলে পড়ানোর জন্য রেখেছেন। এজন্য আমাকে মাসে তিন হাজার টাকা দেন।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিতাই ত্রিপুরা বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের গাফেলতির কারনে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠি অধ্যুষিত মাকুমতৈছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছে। এতে প্রাইমারির গন্ডি পার হওয়ার আগেই ঝরে পড়েছে শিশুরা। ওই শিক্ষকের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি দ্রুত সুরাহা না হলে দুর্গম জনপদের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়তে পারে। এ বিষয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
বর্গা শিক্ষক রাখার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাছমিন আক্তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি বলেন, এলাকার ভালোর কথা চিন্তা এবং পূর্বের প্রধান শিক্ষকের নিয়ম অনুস্বরন করেই আমিও বিদ্যালয়টি পরিচালনা করছি, তবে এলাকা দুর্গম হওয়ার কারনে আমি তেমন একটা বিদ্যালয়ে যাইনা। আরেক প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাছমিন আক্তার বলেন আমি সব বিষয় আমার কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ রেখে করি। া
মাটিরাংগার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মঞ্জুর মোর্শেদ বর্গা শিক্ষকের বিষয়টি জানেননা বলে এরিয়ে যান, এবং মোবাইলে কথা বলার সময় নাই বলে ফোন কেটে দেন।
এম/এস