খাগড়াছড়ির রামগড়ে শ্রেণিকক্ষে এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে চন্দ্রপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. বেলায়েত হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিনের স্বাক্ষরে শনিবার (১৪ মে) এ বরখাস্তের আদেশ জারি হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার (১৬ মে) রামগড় উপজেলা নির্বাহি অফিসার খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত বলেন, ‘পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে নৈতিক স্খলনের গুরুতর অভিযোগে সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর বিধি- ২ এর ‘খ’ অনুচ্ছেদ মোতাবেক তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।’
এদিকে যৌন নিপীড়নকারি শিক্ষক বেলায়েতেক দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির দাবি সচেতন ছাত্র সমাজের ব্যানারে আজ সোমবার সকালে রামগড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে উপজাতীয় ছাত্র-ছাত্রীরা। রামগড় লেকপার্কের বিজয় ভাস্কর্য চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বাজার এলাকায় খাগড়াছড়ি সড়কের পাশে মানববন্ধন করেন। বিক্ষোভকারীরা শিক্ষক বেলায়েত হোসেননহ সাজেকে অপর এক ত্রিপুরা কিশোরীর ধর্ষণকারিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির দাবির জানান।
এছাড়া বিদ্যালয়ে সোমবারও অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে আসেনি বলে জানিয়েছেন এক শিক্ষক। মামলা দায়েরের চার দিন পার হলেও পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে পুলিশের দাবি, আসামি গা ঢাকা দেয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না। তবে পুলিশি অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, বৃহষ্পতিবার (১২ মে) দুপুর ১টায় স্কুল ছুটির পর ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে হোমওয়ার্কের কথা বলে শ্রেণিকক্ষে বসিয়ে রাখে সহকারী শিক্ষক বেলায়েত হোসেন। পরে ওই ছাত্রীর গোপনাঙ্গসহ র্স্পশকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরদিন শুক্রবার (১৩ মে) যৌন নিপীড়নের শিকার ছাত্রীর মা রামগড় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে শিক্ষক বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। একইভাবে ক্লাস চলাকালে আরও কয়েকজন ছাত্রী ওই শিক্ষকের হাতে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পার্বত্যকন্ঠ/এম,এস