খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়-জালিয়াপাড়া সড়কের যৌথখামার এলাকা থেকে অপহৃত হয়েছে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ড ভ্যান চালক ও রানার। অপহৃতদের মুক্তির বিনিময়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবী করেছে অপহরণকারীরা। আর এই অভিযোগের তীর প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর দিকে।
অপহৃত কাভার্ড ভ্যান চালক মো. আব্বাস ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার উত্তর চাসারা এলাকার এবং রানার মো. আল-আমিন নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার ইয়ারাপুর এলাকার বাসিন্দা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, শনিবার রাতে খাগড়াছড়ি জেলা শহর থেকে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ড ভ্যান (ঢাকা মেট্রো-উ-১৪১৪০৭) রামগড় যাচ্ছিলো। রামগড়-জালিয়াপাড়া সড়কের যৌথখামার এলাকা অতিক্রম করার সময় মোটরসাইকেলে করে আসা ৮ থেকে ১০ জন সশস্ত্র অস্ত্রধারী কাভার্ড ভ্যানটির গতিরোধ করে চালক মো. আব্বাস ও রানার মো. আল-আমিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এসময় কাভার্ড ভ্যানটিতে ছিলো হেলপার মো. সোলায়মান, তবে তাকে রেখে গেছে অপহরণকারীরা।
গাড়ির সাথে থাকা হেলপার মো. সোলায়মান বলেন, ‘অপহরণকারীরা সকলেই পাহাড়ি ছিলো। আর প্রত্যেকের হাতেই ছিলো ভারী অস্ত্র। অস্ত্র ঠেকিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই তারা ড্রাইভার এবং রানারকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়।’
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস খাগড়াছড়ি’র ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘অপহরণের পর তারা ড্রাইভারের ফোন থেকে আমাকে কল দিয়ে প্রথমে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। বিষয়টি আমি তাৎক্ষনিক আমাদের ঢাকা অফিসকে জানাই। ঢাকা অফিস মুক্তিপণের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আমি পুনরায় ড্রাইভারের নাম্বারে কল করে তা অপহরণকারীদের জানাই। এবার মুক্তিপণের অংক বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবী করে তারা।’
ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন আরও জানান, অপহরণকারীরা নিজেদের ইউপিডিএফ মূল দলের বলে পরিচয় দিয়েছে।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আর অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশ ও বিজিবি সমন্বয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখন থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।
সূত্র : অনুসন্ধান.নিউজ