খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড়ে বন্ধ হচ্ছে না খাল, বিল,চাষাবাদের জমি ও পুকুর খননের নামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব,প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে কিছু অসাধু নেতা জনবসতি এলাকায় মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তাদের এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে চাচ্ছে, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পাহাড় কাটার বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবিবা মজুমদার অভিযোগের ভিত্তিতে কিছু কিছু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালিয়ে জেল জরিমানা করেন,তবুও বালু এবং পাহাড় খেকোরা রামগড় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পরিবেশ নষ্ট করে সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তাদের অবৈধ কার্যক্রম চলমান রেখেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে
ও তথ্য প্রামাণের ভিত্তিতে জানা গেছে রামগড় ১নং ইউনিয়নের সোনাইআগা নামকস্থানে শেলো মেশিন পাম্প বসিয়ে দীর্ঘদিন যাবত লামকুপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম(৫০)নামে এক বালু ব্যাবসায়ী অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন,বালু উত্তোলনের কারণে যেমন ধান চাষের জমি নষ্ট হচ্ছ তেমনই পরিবেশও পড়ছে হুমকির মুখে, স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,যারা বালু উত্তোলন করছেন তারা নাকি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর রামগড় উপজেলার বড় নেতা,তাই কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চায়না,কারণ তারা নেতা। নামপ্রকাশে অনৈচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসি জানান আব্দুর রহিম যেভাবে শেলো পাম্প বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে এতে করে বর্ষা শুরু হলে জমিনের ওপর থাকা ফলজ এবং বনজ বাগানটি ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে,পাশে থাকা বসত বাড়িও চরম হুমকির মুখে পড়বে, এভাবে যদি বালু উত্তোলনের কার্যক্রম চলতে থাকে বেশিদিন লাগবে না বর্ষাতেই সোনাইআগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ও ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে,তারা গাড়ি নেওয়ার জন্য সরকারি স্কুলের জাগায় কেটে রাস্তা তৈরী করেছে, এবং শেলো পাম্পের বিকট শব্দে স্কুলের পাঠ দানেরও সমস্যা হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকাবাসী দ্রুতই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বালু উত্তোলনকারী মোহাম্মদ আব্দুর রহিম মিয়া এই বিষয়ে জানান তিনি জমির মালিকের অনুমতি নিয়ে বালু উত্তোলন করছেন,বালু উত্তোলনের বিষয়ে উপজেলা ভূমি অফিসাররের কোন অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি এড়িয়ে যান।
এবিষয়ে রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মোহাম্মদ ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত বলেন এই বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না, যখন জেনেছি দ্রুতই সোনাইআগা অবৈধ বালু ঘাটটিতে সরেজমিনে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ ঃ রামগড় উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) উম্মে হাবিবা মজুমদারের নেতৃত্বে এলাকার অভিযোগের ভিত্তিতে অবৈধ বালু ও মাঠি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪/১৫ দ্বারায় ১৪ জানুয়ারী গর্জন তলীর রাকিবুল ইসলামকে পাহাড় কাটার দায়ে ৭০ হাজার টাকা,১৬ জানুয়ারি কালাডেবার জসিম উদ্দিন কে ৬০ হাজার টাকা,৩১ জানুয়ারি বালু উত্তোলনের দায়ে নতুনপাড়ার মোঃমোস্তফা কে ১লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা ও সর্বশেষ ৩ মার্চ ২০২২ ইং বৈদ্যপাড়া এলাকার ক্যাখাই মার্মা কে ৬০ হাজার টাকা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে।