খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের গেষ্ট হাউজে এক নারীকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ইং তারিখ জিম্মি করে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে শহিদুল ইসলাম পাইলট নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে পরে থানায় মামলা,বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের বনভোজন ও পাঠদান উৎসব কর্মসূচির নামে কিছুসংখ্যক সাংবাদিক খাগড়াছড়ির রামগড় কৃষি গবেষণার গেষ্ট হাউজের রুম বুকিং করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পূর্বপরিচিত এক নারী সাংবাদিক (প্রেমিকাকে) জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাবেক ও সংগঠন থেকে বহিষ্কার হওয়া সাংবাদিক নেতা শহিদুল ইসলাম পাইলট ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে, এই বিষয়ে ঐ নারী সাংবাদিক ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে রামগড় থানায় মামলা করতে চাইলে রামগড় এলাকায় শহিদুল ইসলাম পাইলটের এক সহযোগী মানবাধিকার কর্মী নামে পরিচিত, মোহাম্মদ আনোয়ার উল্লাহ্ এর কারণে মামল করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে ঐ নারী সাংবাদিক সুত্রে, দৈনিক দিন প্রতিদিন পত্রিকার নারী সাংবাদিক বলেন আনোয়ার কে ভালো মানুষ ভেবে তাকে সব বলার পর সে আমাকে মামলা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন,সে আমাকে বিভিন্ন কৌশলে রামগড় থেকে ঢাকা পাঠিয়ে দেন,আমি বুঝতে পারিনি, যে আনোয়ার ও শহিদুল ইসলাম পাইলটের একজন সহযোগী,আমি যখন রামগড় থেকে ঢাকা চলে যাই,পরে শুনতে পেলাম খাগড়াছড়ির রামগড় থানায় আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট চুরি মামলা করা হয়েছে,শহিদুল ইসলাম পাইলটের নেতৃত্বে শারমিন মিতু নামের এক নারীকে দিয়ে মোবাইল এবং কম্পিউটার পেনড্রাফ চুরির অভিযোগে এবং সে মামলা বর্তমানে তদন্ত চলমান রয়েছে, নারী সাংবাদিক আরো জানান আমার সাথে শহিদুল ইসলাম পাইলট এর সাথে একটি ভাল রিলেশন ছিলো আর সে রিলেশনের কারণে পাইলট আমাকে জিম্মি করে রাখতো সব সময়। সে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন অংকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে,সে আমাকে বিয়ে করবে বলে অনেক ক্ষতি করেছে , সে কোন দিকে সফল হতে না পেরে,এক পর্যায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের একটি প্রোগ্রাম করে, আর ঐ প্রোগ্রামে সংঘটনের সাথে জড়িত সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাংবাদিকরা পাইলটের ডাকে রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে আসেন,পরে শহিদুল ইসলাম পাইলটের আরেক সহযোগী মাঠিরাঙ্গার মামুনের সহযোগিতায় সরকারি গেষ্ট হাউজ বুকিং করেন,মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পাঠদান উৎসব করবে বলে ।আমাকেও ফোন করে বলে খাগড়াছড়ির রামগড়ে ঐ প্রোগ্রামে যেতে। আমি যাবোনা বললে সে আমাকে হুমকি দিয়ে বলে আমি তার ডাকে সাড়া না দিলে আমাদের রিলেশনের কিছু আপত্তিকর ছবি ইন্টারনেটে দিয়ে দেবে।আমি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলে পাঠদান উৎসবেই আমাকে সে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়,আমি মান সন্মান রক্ষাত্বে রামগড়ে”র সেই সরকারি গেষ্ট হাউজে যাই,যাওয়ার পর আমাকে কৌশলে জিম্মি করে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়,পরে আমার কাছে ১০লক্ষ্য টাকা চাঁদা দাবী করলে আমি রাগান্বিত কন্ঠে তাকে দমক দিলে সে এবং তার সাথে থাকা কিছুসংখ্যক সাংবাদিক আমার ওপর চড়া হয়।আসলে ঐদিনের প্রোগ্রাম সাংবাদিকদের পাঠদানের কিছুই ছিলো না, প্রোগ্রামটা মূলত ছিলো পাইলট আর তার সহযোগীদের একটি নারী নিয়ে আনন্দ করার প্রোগ্রাম।, আমি ছাড়াও প্রোগ্রামে আরো নারী সাংবাদিক ছিল। পরে সংঘটনের সদস্যরা আমার সাথে ঘটে যাওয়া লজ্জাজনক এই কর্মকাণ্ড দেখে অনেকেই লজ্জিত। ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী আরো বলেন আমার মত আর যেনো কেউ রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের গেষ্ট হাউজে এমন লজ্জাজনক পরিস্থিতি না পড়তে হয়,সেদিকে আশা করি কর্তৃপক্ষ নজর রাখবেন,তিনি আরো বলেন ১৮ ফেব্রুয়ারি”র ঘটনার জন্য কর্তৃপক্ষও দায়ী,তার কারণ হচ্ছে তারা যাচাইবাছাই না করে হুটহাট করে সরকারি এই গেষ্ট হাউজটি ভাড়া দিয়েছেন অর্থের লোভে।
এবিষয়ে মামলার বাদী সাংবাদিক শারমিন সুলতানা মিতু কে সত্যতা জানা জন্য 01713003162 নাম্বারে কল করলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।এছাড়া অভিযুক্ত শহীদুল ইসলাম পাইলট ও মোবাইল ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে এই অনাকাঙ্ক্ষিত গঠনার জন্য কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের পাশে বসবাসকারী স্থানীয়রা গবেষণা কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষে কে দায়ী করে বলেন অতিতে ও সরকারের সুনামধন্য পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের গেষ্ট হাউজে নামে বেনামে লোক এসে রুম বুকিং করে নানা অপকর্ম করে প্রতিষ্টানের সুনাম নষ্ট করেছে, এবারও কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর লোভের কারণে গত ১৮- তারিখে অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনাটি ঘটেছে।
রামগড় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মুইনুল হোসেন দৈনিক মানবাধিকার ক্রাইম বার্তার রামগড় প্রতিনিধি কে জানান, থানায় চুরি ও মারামারি, অভিযোগে নিয়ে একটি মামলা হয়,এবং সে মামলা তদন্তের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, বর্তমানে মামলাটি”র তদন্ত চলমান রয়েছে।