খাগড়াছড়িতে “নারীর সুস্বাস্থ্য ও জাগরণ”এই মূল প্রতিপাদ্যের আলোকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে- “টেকসই আগামীর জন্য,জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য”।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।মঙ্গলবার সকাল ১১টায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা অডিটোরিয়াম এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারী অধিকার রক্ষায় বিশ্বব্যাপি সমতাভিত্তিক সমাজ-রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে প্রতিবছর আজকের এই দিনে দিবসটি উদযাপন করা হয়। জাতিসংঘ ২০২২ সালের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে “নারীর সুস্বাস্থ্য ও জাগরণ”। এই মূল প্রতিপাদ্যের আলোকে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এবছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে- “টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য”।
সভায় কিশোর কিশোরী ক্লাবের উপজেলা জেন্ডার প্রোমোটর মোঃ ইউনুস মিয়ার সঞ্চালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম।মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজ তৃলা দেব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আনিসুজ্জামান ডালিম,সহকারী কমিশনার(ভূমি)আফরোজা হাবিব শাপলা,মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ ওবায়দুল হুক,জাতীয় মহিলা সংস্থার মাটিরাঙ্গা চেয়ারম্যান নুসরাত জাহান সূচি,মাটিরাঙ্গা থানার ওসি তদন্ত মোঃ আমজাম হোসেনসহ উপজেলার পদস্থ কর্মকর্তা ও কিশোর কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা।
মাটিরাঙ্গা উপজেলার চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, এদেশের নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যেমন আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, তেমনিভাবে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলাও সম্ভব হবে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আনিসুজ্জামান ডালিম বলেন, নারী তার মেধা ও শ্রম দিয়ে যুগে যুগে সভ্যতার সকল অগ্রগতি এবং উন্নয়নে সমঅংশীদারিত্ব নিশ্চিত করেছে। সারাবিশ্বে তাই আজ বদলে গেছে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি। এখন নারীর কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে, স্বীকৃতিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আলোচনা সভার সভাপতি মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজ তৃলা দেব বলেন, ‘টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’ দিবসের এই প্রতিপাদ্যটিকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৯(৩) অনুচ্ছেদে জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। নারীদের যথার্থ মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সরকার নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নসহ নারীর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। দেশের উন্নয়নকে টেকসই করতে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে সহযাত্রী হিসেবে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন, একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বিশ্ব গড়ার কাজে পুরুষের মতো সমান অবদান রাখার প্রত্যয় নিয়ে নারীর এগিয়ে চলা আগামীতে আরো বেগবান হবে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনও নানা রকম কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এম/এস