আলীকদম সেনা জোনের (প্রত্যয়ী তেইশ) উদ্যোগে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের দুর্গম নাইক্ষ্যংমুখ এলাকায় ‘নাইক্ষ্যংমুখ প্রত্যয়ী স্কুল’ ও ‘নাইক্ষ্যংমুখ জামে মসজিদ’ নির্মাণ করা হয়েছে। সোমবার (০৭ ফেব্রায়ারী) দুপুরে আলীকদম সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মোঃ মনজুরুল হাসান পিবিজিএম, পিএসসি উপস্থিত হয়ে এইসব উন্নয়ন কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।
৫ থেকে ১০ বছর বয়সী দুই শতাধিক মুরুং, ত্রিপুরা, মার্মা ও বাঙ্গালী শিশু এবং ৩ জন শিক্ষক নিয়ে যাত্রা শুরু করে সেনাবাহিনী বাস্তবায়িত প্রাথমিক বিদ্যালয় নাইক্ষ্যংমুখ প্রত্যয়ী স্কুলটি। দুর্গম ও পশ্চাৎপদ এলাকার শিক্ষা সুযোগ থেকে বঞ্চিত এবং ঝরে পড়া শিশুদের বিদ্যালয়মুখী হওয়ার চমৎকার একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সেনাবাহিনীর সার্বিক সহায়তায় স্কুলটি পরিচালিত হবে। স্কুলটি পরিচালনায় লামার গজালিয়া সাব জোন কমান্ডারকে সভাপতি করে ১০ সদস্যের পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এসময় তিনি নাইক্ষ্যংমুখ এলাকার দুস্থ ১শত উপজাতি ও বাঙালি নারী পুরুষের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল), নাইক্ষ্যংমুখ প্রত্যয়ী স্কুলের শতাধিক শিক্ষার্থীদের মাঝে পোশাক (গরম কাপড়), স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, নাইক্ষ্যংমুখ বাজারস্থ ক্যাং-এ পানির ফিল্টার-খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
উদ্বোধন ও বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, আলীকদম সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মোঃ মনজুরুল হাসান পিবিজিএম, পিএসসি। আরো উপস্থিত ছিলেন, ল্যাপটেনেন্ট হাসান, রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার শাহ আলম, কাওই মুরুং, স্কুলের জমিদাতা কাইম্পা মুরুং, মাংপা মুরুং, নাইক্ষ্যংমুখ বাজার কমিটির সেক্রেটারী মোঃ সানু, মসজিদের জমিদাতা নবী হোসেন সহ প্রমূখ।
স্কুল উদ্বোধনের পরে স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে দেয়া এক বক্তব্যে জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মোঃ মনজুরুল হাসান বলেন, শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি অগ্রসর হতে পারেনা। দুর্গমের প্রতিটি শিশু বিদ্যালয়ে যাবে। তাদের শিক্ষা সুবিধায় এই বিদ্যালয় করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা আলীকদম সেনা জোন থেকে করা হবে। তিনি স্কুলটি সুন্দর পরিচালনায় স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি আরো বলেন, পাহাড়ে সেনাবাহিনী এই মিশন নিয়ে কাজ করে। আমাদের মিশন হলো, শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন। পাহাড়ের শান্তি-শৃঙ্খলা যারা নষ্ট করবে তাদের ছাড় দেয়া হবেনা। কোন ধরনের চাঁদাবাজি আমরা মেনে নেবনা। কোন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজের জায়গা পাহাড়ে হবেনা। জনগণের জান মালের নিরাপত্তা প্রদানে আমরা বদ্ধপরিকর।