মো. আলমগীর হোসেন,লংগদু(রাঙ্গামাটি)
দেশব্যাপী যেখানে ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন সরব সেখানে তা তোয়াক্কা না করেই,রাঙ্গামাটির লংগদুতে চার বাচ্ছার জননীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করে স্থানীয় এক বখাটে মটর বাইক চালক সোহাগ (৩৮)। সোহাগ লংগদু উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের মুর্শিদাবাদ এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।
ঘটনার শিকার ভিকটিম একই এলাকার বাসিন্দা। ভিকটিম জানায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তার নিজের বাড়ি থেকে তার ভাইয়ের মেয়েকে নিয়ে ভাইয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন,ভাইয়ের মেয়েকে তার বাসায় রেখে ধান ক্ষেতের উপর দিয়ে আসার সময় পিছন থেকে বখাটে সোহাগ ভিকটিমের চোখে মুখে চেপে ধরে ধস্তাধস্তি করে এ পর্যায়ে ধানের জমিতে শুয়িয়ে ফেলেন। তখন ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ভিকটিম হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে কল দেওয়ার চেষ্টা করলে অপরাধী মোবাইল কেঁড়ে নিয়ে মাটির গর্তে ঢুকিয়ে দেন। পরে ভিকটিমের উড়না কেঁড়ে নিয়ে তার মুখ বাঁধার চেষ্টা করলে কৌশলে তিনি ধর্মের দোহাই দিয়ে চিৎকার চেচামেচি শুরু করলে পাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।
ভিকটিমের বৃদ্ধ মা জানান, আমার মেয়ের সাথে যেটা হয়েছে এটা যেনো আর কারো মেয়ের সাথে না হয়। আমি মা হিসেবে এঘটনার সুস্থ বিচার চাই। আমার মেয়ের জীবনের নিরাপত্তা চাই।
ভিকটিমের স্বামী জানান, ঘটনার সময় আমি বাজারে চলে আসি। খবর পেয়ে বাসায় যেয়ে দেখি আমার পরিবারের অবস্থা খারাপ। সারাদিন রোজা রেখেছে,পরে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে বারবার তখন স্থানীয় ফার্মেসীতে নিলে তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য লংগদু সদর হাসপাতালে পাঠান।আমরা হাসপাতালে কেন আসলাম তাই এলাকার সেতারা বিচার করবেনা বলে আমাদের জানায়। আমি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ বিচার চাই।
ভিকটের ভাই এবং বাবা জানান, ঘটনার সঠিক তদন্ত করে আসামীর বিচার করতে হবে। সমাজে আমাদের মানসম্মান নষ্ট করে দিয়েছে। ভিকটিমের চারজন মেয়ে আছে, মেয়ের জামাই আছে। আমাদের পরিবার এমন নিন্দনীয় কাজের সুষ্ঠু বিচার কামনা করছি।
লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিম এবং তার পরিবারের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। এবং আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।