• শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
দীঘিনালায় ভাঙ্গা ঘরে কষ্টে দিন কাটছে অসহায় আহমদ আলী পরিবারের রামগড়ে চার মাংস ব্যবসায়ীকে জরিমানা গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন-সভাপতি আজু শিকদার, সম্পাদক শহিদুল ইসলাম আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নতুন ঘর নির্মাণ করে দিলেন যামিনীপাড়া জোন রামগড়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে দুই ব্যবসায়ীকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা খাগড়াছড়ি বন বিভাগ দু’টি বন মোরগ উদ্ধার করে অবমুক্ত করলো প্রাকৃতিক বনে মাটিরাঙ্গা জোনে মাসিক নিরাপত্তা ও মতবিনিময় সভা পাহাড়ে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে সেনাবাহিনীর সহায়তা বিতরণ লংগদু জোনের উদ্যোগে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভা মানিকছড়িতে ইয়ুথ গ্রুপের কর্ম অভিজ্ঞতা ও ত্রৈমাসিক সভা লংগদুতে সরকারি চাল মজুদ রাখার অভিযোগে তিন ব্যবসায়ীকে নগদ অর্থদন্ড নববর্ষের শোভাযাত্রায় ইয়েন ইয়েনের দেশবিরোধী প্ল্যাকার্ড নেওয়ায় পিসিসিপি’র বিক্ষোভ

গোয়ালন্দে আগাছা নাশক ঔষধ দিয়ে পিয়াজ খেতের ক্ষতি

সাইফুর রহমান পারভেজ গোয়ালন্দ রাজবাড়ী / ১৬৮ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৫

সাইফুর রহমান পারভেজ,গোয়ালন্দ রাজবাড়ীঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের অম্বল পুর এলাকায় আগাছা নাশক ঔষধ ছিটিয়ে অর্ধ পরিপক্ব পিঁয়াজ খেতের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় ছাত্তার শেখ (৪০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত যুবক ছাত্তার শেখ (৪০) দেবগ্রাম ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চর পাঁচুরিয়া অম্বলপুর গ্রামের গেঁদা শেখ এর ছেলে।

অভিযোগকারী দরিদ্র কৃষক শামজাদ শেখ (৫৫) একই এলাকার মৃত তাজ উদ্দিন শেখ এর ছেলে।
তিনি এ ব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার গোয়ালন্দ ঘাট থানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানাযায়, পূর্ব দ্বন্দ্বের জের ধরে দেবগ্রাম ইউনিয়নের মাঠের প্রায় দেড়বিঘা জমির অর্ধ পরিপক্ক পিঁয়াজে পচন ঔষধ (আগাছা নাশক) ছিটিয়ে পেয়াজ গাছের ক্ষতি করেছেন। পেয়াজ গাছের চারা শুকিয়ে মরে যাচ্ছে।

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,
আগাছা নাশক তরল ঔষধ স্প্রে করায় অর্ধ পরিপক্ব পিঁয়াজের গাছগুলো পচন ধরে শুকিয়ে সম্পুর্ন ক্ষেত সাদা হয়ে গেছে। ভুক্তভোগী দরিদ্র কৃষক শামজাদ শেখ ক্ষেতের মধ্যে আহাজারি করছেন। পাশ্ববর্তী কৃষকরা তাকে শান্তনা দিচ্ছেন। এ সময় শামজাদ শেখ জানান, মাস কয়েক আগে আমার ধানের জমি থেকে ওই ছাত্তার পানি কেটে নেয়াকে কেন্দ্র করে তার সাথে আমার দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। ওই ঘটনার জের ধরে সে সপ্তাহ খানেক আগে এই আধাপাকা দেড় বিঘা পিঁয়াজ ও রসুন ক্ষেতে ঘাস মারা ঔষধ দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছে। এতে আমার সারে ৩ থেকে ৪ লক্ষ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। গ্রামের লোকজন শালিশ বিচার করে তাকে ৩ লাক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। সে জরিমানা না দিয়ে শালিশ বৈঠক থেকে কৌশলে পালিয়ে গিয়ে উল্টো আমাকে মারপিটের হুমকি দিচ্ছে। নিরূপায় হয়ে আমি থানা পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছি। আমি এই ক্ষতিসহ ওর উপযুক্ত বিচার চাই। স্থানীয় কৃষক রমজান আলী, কালাম শেখ, জসিম শেখসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, ছাত্তার খারাপ প্রকৃতির লোক। এর আগেও এক কৃষকের উচ্ছে ক্ষেতে ঔষধ ছিটিয়ে নষ্ট করেছিলো। আবার এই পিয়াজ ক্ষেত নষ্ট করেছে। সে কোন শালিশ বিচার মানেনা।

অভিযুক্ত ছাত্তারকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বৃদ্ধ পিতা গেদাই শেখ বলেন, আমার ছেলে একাজ করে নাই। শালিশ বিচার হয়েছে কিনা তাও আমি জানি না।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল ইসলাম জানান, অভিযোগের সত্যতা ক্ষতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদুর রহমান বলেন, ওই কৃষকের অভিযোগটি তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার পর পরবর্তী সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ