বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্লাহ বলেছেন, ৫ আগস্ট দীর্ঘদিনের ফ্যাসিবাদ থেকে জনতার মুক্তি মিলেছে। বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতের পতাকাতলে শামিল হবার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, গায়ের জোরে, অন্যায়ভাবে মানুষকে হত্যা করে কখনো ক্ষমতার টিকে থাকা যায় না। আজ তারাই পালিয়ে গেছে যারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল।
শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকালের দিকে মাটিরাঙ্গার চৌধুরী কমিউনিটি সেন্টারে কর্মী ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের সভাপতি মো. শামছুল হক‘র সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান ও খাগড়াছড়ি জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন প্রমুখ।
কর্মী ও সুধী সমাবেশে বাংলাদেশ সপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ আবুল হোসেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের সাবেক সভাপতি আমান উদ্দিন, মাটিরাঙ্গা জামায়াতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাও: আবদুল জলিল, খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মো. মাইন উদ্দিন ও গোমতী ইউনিয়নে জামায়াতের সভাপতি মো. সালেহ আহাম্মেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অধ্যাপক আহসান উল্লাহ বলেন, জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে জামায়াতে নেতৃবৃন্দকে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা বছরের পর বছর ধরে মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে। মানবতার বিরোধী অপরাধের জন্য শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার বাংলার মাটিতে করতেই হবে।
দেশের স্বার্থে ও জনগনের অধিকার রক্ষায় জামায়াতের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি বলেন, আমরা দল, ধর্ম ও গোষ্ঠীর ভিত্তিতে জাতিকে আর বিভক্ত হতে দেব না। জাতিকে ভাগ করার দিন শেষ হয়েছে।
মাটিরাঙ্গায় জামায়াতের কর্মী ও সুধী সমাবেশে মাটিরাঙ্গা উপজেলার নায়েবে আমির শেখ আহাম্মদ, খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি আবু আহাম্মদ, কুমিল্লা মহানগর ছাত্র শিবিরের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যডভোকেট ইব্রাহিম মনির ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে আসা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।