অসীম রায় (অশ্বিনী) বান্দরবান:
কদিন পরেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুজা। সারা দেশের ন্যায় বান্দরবানেও এনিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছে প্রতিমা ও মন্ডপ তৈরির মৃৎশিল্পীরা।
৭ই অক্টোবর বান্দরবান জেলা সদরের পুজা মন্ডপ গুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
বান্দরবান সদরের রাজার মাঠ,কালাঘটা ও বালাঘাটার দূর্গা মন্ডপ গুলোতে গিয়ে দেখাযায়, দুর্গা-মহিষাসুর, লক্ষী, সরস্বতী, গণেশ, কার্তিক ও মন্ডপসহ এই পুজায় পূজ্য প্রায় সকল প্রতিমা তৈরির ৯০ শতাশ কাজ সম্পন্ন করেছেন। অবশিষ্ট কাজ সমাপ্ত করতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন এই শিল্পীরা।
পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা জানান, সারা দেশের ন্যায় শারদীয় দূর্গা পুজা উপলক্ষে এই জেলায়ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আয়োজন করা হচ্ছে দূর্গা পুজার। এবারে জেলায় ৩১ টি পুজা মন্ডপে দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে সদর উপজেলায় ১১, লামা ৮, আলীকদম ৫
রুমা ১, রোয়াংছড়ি ১, থানচি ২ ও নাইক্ষ্যংছড়িতে ৩ টি।
পূজা মন্ডপে প্রতিমা-মন্ডপসহ প্রায় সকল আয়োজন প্রস্তুতি ইতিমধ্যে ৯০ শতাংশ সমাপ্ত হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামি ৮ অক্টোবর থেকে ৫ দিন ব্যাপী এই পুজা শুরু হয়ে ১৩ই অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটবে।
বান্দরবান কেন্দ্রীয় দূর্গাপুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রাজেশ্বর দাশ বিপ্লব জানান, শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় জেলার ৩১ টি মন্ডপে পুজার আয়োজন করা হয়েছে। পুজা উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী ও জেলা পুলিশ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে এবং পুজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম বলেন, জেলার প্রতিটি পুজা মন্ডপে নিরাপত্তার স্বার্থে ধারাবাহিক ভাবে ১২-১৫ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া পুলিশের ভ্রাম্যমাণ দলও দায়িত্ব পালন করবে এবং এখনো পর্যন্ত জেলার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।