খাগড়াছড়ি : শারদীয় দূর্গোৎসব উদযাপনকে সামনে রেখে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা জোন ১৫ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি মাটিরাঙা সেনা জোনের উদ্যােগে দূর্গাপূজা মন্ডপের সভাপতি-সম্পাদকসহ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর ) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মাটিরাঙ্গা জোন সদরে বিশেষ মাসিক নিরাপত্তা ও মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মাটিরাঙ্গা জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. কামরুল হাসান পিএসসি।
পাহাড়ের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় আন্তরিকতার কাজ করে যাচ্ছে মন্তব্য করে মাটিরাঙ্গা জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. কামরুল হাসান পিএসসি বলেন গুজবে কান না দিয়ে সবাই সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে। শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে যেন পালন করতে পারে সেদিকে সবাই সর্তক থাকতে হবে। প্রতিটি পূজামন্ডপে পূজারীরা যেন পূজা করতে পারে সে জন্য পুলিশ আনসার ভিডিপির পাশাপাশি সেনাবাহিনী মাঠ পর্যায়ে টহলে থাকবে বলেও জানান তিনি।
এসময় মাটিরাঙ্গা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মো.মুরাদ হোসাইন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আলম, গুইমারা ৩৪ আনসার ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক মো. আনোয়ার হোসেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শেখ আবুল হাসনাত, মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো.শরীফ, মাটিরাঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান দিপু, মাটিরাঙা উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক বদিউল আলম বদি, মাটিরাঙা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. শাহ জালাল কাজল, মাটিরাঙ্গা উপজেলা নাগরিক নিরাপত্তা কমিটির সভাপতি নুর আলম, মাটিরাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো.জসীম উদ্দিন জয়নাল ছাড়াও পদস্থ সামরিক-বেসরকারী কর্মকর্তা, হেডম্যান, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্যাঞ্চলের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, পাহাড়ের উপজাতি সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে পাহাড়ি-বাঙ্গালী কেউ শান্তিতে নাই। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, গুম, খুন, হত্যা ও চাঁদাবাজি রোধে এবং শান্তি ফিরিয়ে আনতে পার্বত্যাঞ্চল হতে প্রত্যাহার কৃত সেনা ক্যাম্প পুন:স্থাপন ও প্রতিটি পূজামন্ডপ কমিটির বাহিরে সকল সম্প্রদায় থেকে লোক দিয়ে একটি নিরাপত্তা কমিটি গঠনের দাবি জানান বক্তারা।