ছোটন বিশ্বাস, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।। খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতায় গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। সকালে দীঘিনালার লারমা স্কয়ার সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নূরী।
এসময় ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলেন। এবং ঘটনার কারণ জানতে চাইলে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলার পাশাপাশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া যারা আহত বা নিহত হয়েছে সেই তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। এবং কেউ ব্যস্তুচ্যুত হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি আরও বলেন, তিন জেলার জন্য বিভাগীয় কমিশনারের অফিস থেকে আমি সহ সাতজনের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা আজকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছি। প্রত্যক্ষদর্শী যারা আছেন তাদের আমরা সাক্ষ্য গ্রহণ করব এবং সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সুধীজনের আমরা মতামত নেব। সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে দেখবো ঘটনার কারণ কি ছিল।
দীঘিনালার লারমা স্কয়ার পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটির সদস্যরা খাগড়াছড়ি সদরে নিহত মামুন বসত বাড়িতে পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে গণপিটুনির শিকার হয়ে মামুন নামে এক যুবককে নিহত হয় । এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি লারমা স্কয়ারের দিকে যাওয়ার সময় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে লারমা স্কয়ারে দোকানপাট ও বসত বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সূত্রপাতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও রাঙামাটিতে ছড়িয়ে পরে। ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠন করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার। আগামী ১৪ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবে তদন্ত কমিটি।