ছোটন বিশ্বাস, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।। খাগড়াছড়িতে জেলা জিয়া পরিষদের উদ্যোগে সম্প্রীতির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি পৌর টাউন হল সম্মেলন কক্ষে খাগড়াছড়ি জেলা জিয়া পরিষদের সম্প্রীতি সমাবেশে সভাপতি মোজাম্মেল হক এর সভাপতিত্ত্বে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভুইয়া।
সম্প্রীতি সমাবেশে জেলা জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রবীণ চন্দ্র চাকমা, সাধারণ সম্পাদক এম.এন.আবছার, যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট আবদুল মালেক মিন্টু, অনিমেষ চাকমা রিংকু।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিগত সরকারের আমলে আমরা যারা বিএনপির বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলাম বলে আমাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি, চাকুরী ছুতো এবং শিক্ষকদের সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি স্থানান্তর করে হয়রানি করেছে। আমরা কিছু বলতে পারিনি। বললে লাভ হয়নি। খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ ছিলো একটি দূর্নীতির আঁকড়া। নিয়োগের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়োছিলো সবাই মিলে। গত ৫ তারিখের ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পরে সরকারের পতন হয়েছে। নতুন বাংলাদেশে আমরা চাই প্রাণ খুলে কথা বলার অধিকার।
এসময় প্রধান অতিথি ওয়াদুদ ভুইয়া বলেন, আমরা বিগত স্বৈরাচারী সরকার হতে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি, মামলা -হামলার স্বীকার হয়েছি। কিন্তু গত ৫ তারিখের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পরে পেসিস সরকারের পতন হয়েছে। কিন্তু সরকারের পতন হলেও তার দোসররা এখনো দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য পায়তারা করছে। সুতরাং আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সেসব পেসিস সরকারের দোসরদের সুযোগ দেওয়া যাবে না। আমাদের দেশ এখন বৈষম্য মুক্ত। তাই সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। এবং বিএনপিকে সামনে জয় যুক্ত করে বৈষম্যমুক্ত পরিবেশে কাজ করার জন্য প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
জিয়া পরিষদ সম্প্রীতির সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা, জেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা জাকিয়া জিন্নাত বিথী, জেলার গণমাধ্যমকর্মী, জেলা যুব দলের সভাপতি মাহবুবুর আলম সবুজ সহ সুশীলসমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।