• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
“আদিবাসী” শব্দ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি কেন? খাগড়াছড়িতে বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকে ৭২ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ ফেসবুক স্ট্যাটাস কলেজ ছাত্রের, কর্ণফুলী নদীতে মিলল মরদেহ খাগড়াছড়িতে সংঘাতের জেরে সহিংসতা ও নাশকতা রোধে ১৪৪ ধারা জারি রুখতে হবে ষড়যন্ত্র- আলমগীর কবির গোয়ালন্দে অটোরিকশা সহ চোর চক্রের প্রধান আটক জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধে বান্দরবানে জলবায়ু ধর্মঘট রাঙ্গামাটিতে উপজাতি সন্ত্রাসী কতৃক মসজিদে হামলার প্রতিবাদে লংগদুতে বিক্ষোভ মিছিল খাগড়াছড়িতে সহিংস ঘটনায় নিহত ৩- আহত ৯ খাগড়াছড়ির দীঘিনালার লারমা স্কয়ার দুই পক্ষের বিরোধে বাজারে আগুন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বরকল উপজেলায় কমিটি ঘোষণা রামগড়ে বিজিবি ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ভারতীয় পণ্যসহ আটক ২

রাঙামাটি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে ৩শ’ পরিবার পানিবন্দি

মেহেদী বিন সুলতান, রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি  / ৭৩ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪

 

মেহেদী ইমামঃ

কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে রাঙামাটি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের তিনশতাধিক পরিবার।

সোমবার বিকালে সকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কাপ্তাই হ্রদের তীরে বসবাসরত শান্তিনগর, রসুলপুর ও গর্জনতলী এলাকার তিন শতাধিক পরিবারের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে।

পানিবন্দি এসব পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত ৩দিন যাবৎ তারা পানিবন্দি। কিন্তু কেউ তাদের খোঁজ খবর নেয়নি। ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা, খাবার ও কাজকর্ম নিয়ে অনিশ্চিত জীবন যাপন করছেন বলে জানান তারা।

ভূক্তভোগী এক নারী জানায়, রোববার পৌর কাউন্সিলর এসে তাদের এই দুরাবস্থা দেখে গেলেও তারা কোনো সহয়তা পাননি। তারা এ বিষয়ে জেলাপ্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গণমাধ্যম কর্মীদের অনুরোধ জানান।

এবিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আসমা বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানি স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়লে স্পিলওয়ের গেট খুলে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে কেউ পানিবন্দি থাকার কথা নয়। আমি পৌরসভার কাউন্সিলরদের সাথে কথা বলে দেখেছি। যারা এখন পানিবন্দি তারা বন্যার কারণে নয় বরং তারা কাপ্তাই লেকের অবৈধ দখলদার। বৈধভাবে কিছু পরিবার থাকলেও বেশিরভাগ পরিবার অবৈধভাবে এসব এলাকায় বাস করে। কিছু প্রভাবশালী লোক জমি দখল পূর্বক এসব পরিবারের নিকট ভাড়া দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

সরকারীভাবে কোন সহায়তা এলে তিনি তা পৌছে দেবেন বলেও জানান। ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল উদ্দিনের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ডে আজ ২/৩দিন যাবৎ ৩ থেকে ৪শত পরিবার পানিবন্দি। এবিষয়ে আমি অনুরোধ করবো জেলা প্রশাসকের নিকট। তিনি যেভাবে নির্দেশ দিবেন আমরা সেভাবে কাজ করবো।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শান্তিনগর, রসুলপুর ও গর্জনতলী ছাড়াও শহরের আসামবস্তি, ব্রাক্ষণটিলা, রাঙাপানি, হাসপাতাল এলাকা, পাবলিক হেলথ, রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি, পুরানবস্তিসহ কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী বেশ কিছু এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। কাপ্তাই বাঁধের পানি ছাড়া না হলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে দাবি স্থানীয়দের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ