মেহেদী ইমামঃ
কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে রাঙামাটি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের তিনশতাধিক পরিবার।
সোমবার বিকালে সকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কাপ্তাই হ্রদের তীরে বসবাসরত শান্তিনগর, রসুলপুর ও গর্জনতলী এলাকার তিন শতাধিক পরিবারের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে।
পানিবন্দি এসব পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত ৩দিন যাবৎ তারা পানিবন্দি। কিন্তু কেউ তাদের খোঁজ খবর নেয়নি। ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা, খাবার ও কাজকর্ম নিয়ে অনিশ্চিত জীবন যাপন করছেন বলে জানান তারা।
ভূক্তভোগী এক নারী জানায়, রোববার পৌর কাউন্সিলর এসে তাদের এই দুরাবস্থা দেখে গেলেও তারা কোনো সহয়তা পাননি। তারা এ বিষয়ে জেলাপ্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গণমাধ্যম কর্মীদের অনুরোধ জানান।
এবিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আসমা বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানি স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়লে স্পিলওয়ের গেট খুলে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে কেউ পানিবন্দি থাকার কথা নয়। আমি পৌরসভার কাউন্সিলরদের সাথে কথা বলে দেখেছি। যারা এখন পানিবন্দি তারা বন্যার কারণে নয় বরং তারা কাপ্তাই লেকের অবৈধ দখলদার। বৈধভাবে কিছু পরিবার থাকলেও বেশিরভাগ পরিবার অবৈধভাবে এসব এলাকায় বাস করে। কিছু প্রভাবশালী লোক জমি দখল পূর্বক এসব পরিবারের নিকট ভাড়া দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
সরকারীভাবে কোন সহায়তা এলে তিনি তা পৌছে দেবেন বলেও জানান। ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল উদ্দিনের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ডে আজ ২/৩দিন যাবৎ ৩ থেকে ৪শত পরিবার পানিবন্দি। এবিষয়ে আমি অনুরোধ করবো জেলা প্রশাসকের নিকট। তিনি যেভাবে নির্দেশ দিবেন আমরা সেভাবে কাজ করবো।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শান্তিনগর, রসুলপুর ও গর্জনতলী ছাড়াও শহরের আসামবস্তি, ব্রাক্ষণটিলা, রাঙাপানি, হাসপাতাল এলাকা, পাবলিক হেলথ, রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি, পুরানবস্তিসহ কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী বেশ কিছু এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। কাপ্তাই বাঁধের পানি ছাড়া না হলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে দাবি স্থানীয়দের।