আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট):
বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহার বলেছেন, “হার পাওয়ার” প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশের নারীদের প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তুলে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নারী শিক্ষার প্রসার, নারীর কর্মসংস্থান ও যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে শক্তিশালী ভূমিকার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকাল ৪টায় মোংলা উপজেলা মিলনায়তনে হার পাওয়ার প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত মোংলা উপজেলার নারী আইটি সেবাদাতা ক্যাটাগরির মোট ৮০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে ল্যাপটপ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি একটি শিক্ষিত জাতি দেব।নেপোলিয়নের এই উক্তির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় নারীদের ৬০% কোটা নির্ধারণের বঙ্গবন্ধুকন্যার যুগান্তকারী একটা সিদ্ধান্ত আমাদের সমাজে নারীদের সম্মান ও অধিকার প্রতিষ্ঠার চিত্র বদলে দিয়েছে। যে সমাজে নারীদেরকে বোঝা মনে করা হতো, সে সমাজে নারীদের সম্মান প্রতিষ্ঠা হয়েছে, যৌতুক ব্যাধি থেকে নারী সমাজ মুক্ত হয়েছে এবং একইসাথে নারীদের সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও অর্থনৈতিক অধিকারও প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
মোংলার মানুষ এখন শুধু মৎস্য সম্পদ রপ্তানি করেই বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে না, হার পাওয়ার প্রকল্পে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমাদের মেয়েরা নিজেদের মেধা ব্যবহার করেও এখন বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। আমরা বিশ্বাস করি বিশ্বজয়ের হাতিয়ার কম্পিউটার ও মেধাবী তরুণ প্রজন্মকে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে এই তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে আমরা ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না’র সভাপতিত্বে এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, ভাইস-চেয়ারম্যান মো: জামাল হোসেন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মিসেস কামরুন নাহার হাই, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তারিকুল ইসলাম, সহকারী প্রোগ্রামার (উপজেলা আইসিটি অফিসার) সৌমিত্র বিশ্বাস, চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মো. তারিকুল ইসলামসহ উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জেলা আইসিটি বিভাগের তত্ত্বাবধানে আগাই মাসের আউটসোর্সিং-এর নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই শিক্ষার্থীদের।
এর আগে বিকাল ৩টায় উপজেলা পরিষদের বাস্তবায়নে ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের সহযোগিতায় জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং সহযেগিতার প্রতীক হিসেবে জাইকার অর্থায়নে মোংলা উপজেলা পরিষদ চত্বরে মাধ্যমিক পর্যায়ের ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত মোট ১৫৫ জোড়া উঁচু-নিচু বেঞ্চ বিতরণ করেন বাগেরহাট-৩ আসনের (মোংলা-রামপাল) সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহার।
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার’র সভাপতিত্ব সহকারি পুলিশ সুপার ( মোংলা-রামপাল সার্কেল ) মুশফিকুর রহমান তুষার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জামাল হোসেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস কামরুন্নাহার হাই, সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) মোঃ তারিকুল ইসলাম, থানা অফিসার ইনচার্জ কে এম আজিজুল ইসলাম,জাইকা কর্মকর্তা মোঃ আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।