• বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
পানছড়িতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৩ জন আটক গুইমারায় আওয়ামী লীগ নেতা আটক গুইমারায় একজনকে অপহরণ, থানায় অভিযোগ খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকদের যৌথ সিদ্ধান্তে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সংবাদ বয়কট অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে রামগড়ে ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ২ পটিয়ায় রংধনু ফাউন্ডেশন ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপের উদ্বোধন পটিয়ায় পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা, নারীসহ পরিবারের সদস্যদের মারধর কাপ্তাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনি স্কাউট গ্রুপের বার্ষিক তাঁবুবাস উদ্বোধন রামগড় ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় গাঁজা ও সিগারেট জব্দ ফের চকরিয়ার ফাঁসিয়া খালীতে হাতির রহস্যময় মৃত্যু  রামগড় ৪৩ বিজিবি পরিচালিত কম্পিউটার ও সেলাই প্রশিক্ষণে সনদপত্র বিতরণ দৌলতদিয়া পদ্মা নদীতে ইলিশ সংরক্ষণে বাধ অপসারণ

ঈদের দ্বিতীয় দিনেও চলছে পশু কোরবানি

স্টাফ রিপোর্টার / ২৭৮ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০২৪

 

মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় সারাদেশে উদযাপিত হয়েছে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করেছেন।

ঈদের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।  কসাই না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে গতকাল সোমবার যারা ফরজ এই ইবাদত পালন করতে পারেননি, তারাই আজ পশু কোরবানি দিচ্ছেন। আজ মঙ্গলবার ফজরের নামাজের পর থেকেই এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সরেজমিন রাজধানীর ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, পুরান ঢাকা, ধূপখোলা ও গেন্ডারিয়া এলাকা ঘুরে পশু কোরবানি করতে দেখা গেছে। তবে এই সংখ্যা অনেক কম।

ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে অধিকাংশ কোরবানিদাতাই প্রথম দিন কসাই সংকটের কারণ উল্লেখ করেছেন। আবার অনেকেই পারিবারিক ও প্রথাগত ঐতিহ্য ধরে রাখতেও দ্বিতীয় দিন কোরবানি করেন।

রাজধানীর ধূপখোলা এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সবুর বলেন, পর্যাপ্ত জায়গার সংকট ছিল। মহল্লার অলিগলি, বাসার নিচের গ্যারেজ, সড়ক সব জায়গাতেই গতকাল অনেক ভিড় ছিল। তাছাড়া কসাইও পাওয়া যায়নি। সেজন্য গতকাল কোরবানি দিতে পারিনি। আজকে স্বস্তির সঙ্গে পশু জবাই করেছি। গেন্ডারিয়া এলাকার বাসিন্দা নাইমুর রহমান বলেন, পারিবারিকভাবেই আমাদের এই এলাকায় এবং পুরান ঢাকার অনেক মানুষ দ্বিতীয় দিনে কোরবানি দিয়ে থাকে। এটি প্রথাগতভাবে অনেক আগে থেকে চলে এসেছে। আমাদের বাপ-দাদারাও দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিতেন। সেজন্য আমরাও দ্বিতীয় দিন কোরবানি দেই।
অবশ্য ইসলামী শরিয়তেও কোরবানির মোট সময় তিনদিন। ১০ জিলহজ ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে শুরু করে জিলহজের ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত কোরবানি করা যায়। জিলহজের ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পর আর কোরবানি করার সুযোগ থাকে না।
তবে কেউ যদি কোরবানির সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর অর্থাৎ ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পর কোরবানির পশু জবাই করে ফেলে, তাহলে ওই পশুর সব মাংস সদকা করে দিতে হবে। এ রকম ক্ষেত্রে গোশতের মূল্য জীবিত পশুর চেয়ে কমে গেলে যে পরিমাণ মূল্য কমবে, তাও সদকা করতে হবে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন ইসমলামিক স্কলারদের মতামত, ঈদের প্রথম দিন কোরবানি করা সবচেয়ে উত্তম, তারপর দ্বিতীয় দিন, তারপর তৃতীয় দিন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ