• শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ০২:০৬ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
ক্যায়াংঘাট ইউনিয়ন বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন ফরম কার্যক্রমের উদ্ভোধন খাগড়াছড়িতে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ৬ সংগঠনের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ খাগড়াছড়িতে ছাত্র জনতার জুলাই – আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন উপলক্ষ্যে প্রতীকী ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা রামগড় ৪৩ বিজিবির ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা ও সমন্বয় সভা কাপ্তাইয়ে গ্রাফিতি ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা মানিকছড়িতে নিহত সোহেলের পরিবারের পাশে বিএনপি এক লাখ টাকা অনুদান খাগড়াছড়িতে জেলা যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ৭ দিন পর লামায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় উত্তপ্ত খাগড়াছড়ি জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে মহালছড়িতে আলোচনা সভা,গ্রাফিতি,চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে স্বেচ্ছাসেবক সলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ মানিকছড়িতে সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশী মদ জব্দ

বাগেরহাটে বেআইনীভাবে প্রস্তুত হচ্ছে শামুকের খোলস পুড়িয়ে চুন

আরিফুল ইসলাম রিয়াজ, মোল্লাহাট, বাগেরহাট: / ৩১৩ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪

আরিফুল ইসলাম রিয়াজ, মোল্লাহাট, বাগেরহাট: বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার দুর্গাপুর এলাকায় পরিবেশবান্ধব শামুকের খোলস পুড়িয়ে রাতভর তৈরি করা হয় চুন। আর এ চুন তৈরি করতে প্রতিদিন জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে শত শত মণ কাঠ। নির্বিচারে নিধন চলছে গাছ।

বাগেরহাটে বছরের পর বছর ধরে বেআইনীভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে শামুকের খোলস পুড়িয়ে চুন। চুন তৈরীর কারনে যেমন পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে তেমনি জীব বৈচিত্রের ধ্বংসের পাশাপাশি তীব্র হচ্ছে বায়ু দূষন। বাতাসে তীব্র গন্ধের কারনে যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে। এর প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। দীর্ঘ বছর ধরে এ বে-আইনী কার্যক্রম চলমান থাকলেও দেখার কেউ নাই। সরেজমিন আরো দেখা গেছে, বাগেরহাটসহ বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে শামুকের খোলস সংগ্রহ করে এনে পুড়িয়ে অস্বাস্থ্যকরভাবে তৈরি হচ্ছে চুন। বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে শম্ভু সূত্রধরের রয়েছে শামুকের খোলস পোড়ানো কারখানা। অপরিচ্ছন্ন দুর্গন্ধযুক্ত খোলস মাসের পর মাস রাস্তার পার্শে গাদা মেরে রেখে সারা বছর পোড়ানো হয়। দুর্গন্ধযুক্ত ধোঁয়ায় দূষিত হয় এলাকা।  ২০০৯ সাল থেকে চলছে এ কাজ। কারখানার আশপাশের বসতবাড়ির লোকেরা জানায়, প্রতিদিন রাতেই চুন পোড়ানো হয়। যখন বড় ইলেট্রিক ফ্যান দিয়ে চুল্লিতে আগুন দেওয়া হয়, তখন চারদিক ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে যায়। বাতাসের তীব্র গন্ধে আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। চোখ জ্বালা-পোড়া করে। শিশু ও বয়স্করা কাশিতে ভোগেন। চুল্লির চারপাশের প্রায় দু’কিলোমিটার এলাকার মানুষের রাতে ঘুমানোই কঠিন হয়ে ওঠে। দুর্গন্ধে প্রতিনিয়ত পত্যেকটি বাড়ির লোকেরা অসুস্থ থাকে।শম্ভু সূত্রধর জানান, তাঁর ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে। এছাড়া আর কোন কাগজপত্র আমার কাছে নাই। দীর্ঘ বছর চুন প্রস্তুত করেছি কোন সমস্য হয় নাই। একাধিক বার পরিবেশের ছাড়পত্রের আবেদন করলেও তা পাইনি। তিনি বলেন, আমার চুন বাগেরহাট, বরিশাল, ঝালকাঠিসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়।বাগেরহাট জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান সরকার জানান, বাগেরহাটে চুণ প্রস্তুতের জন্য মোল্লাহাট ও ফকিরহাট দুইটি কারখানার অনুমনি দেওয়া আছে। বাকি কেউ করে থাকলে তা সম্পূর্ন বেআইনী। কাঠ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার কোন অনুমতি নাই। এ ধরনের বে-আইনী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে তিনি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ