বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের ৩৩/৩৪ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে মিয়ানমারের পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক যুবকের ডান পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া যুবকের নাম নবী হোসেন প্রকাশ সোনাইয়া (২০)। সে তুমব্রু ২নং ওয়ার্ডের ফকিরা ঘোনা হাবিবুর রহমানের ছেলে। শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনায় মোহাম্মত তাহের (২৮) নামের আরও এক যুবক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সে একই গ্রামের হাসপাতাল পাড়ার মৃত আবুল হোছনের ছেলে।
ঘুমধুম ইউপির ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার শফিকুল ইসলাম বলেন, দুইজন যুবক মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছে শুনেছি। তবে কখন গেছে, কেন গেছে জানি না।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে দুইজন আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
আহতদের উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সোনা মিয়ার অবস্থার অবনতি হওয়াতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। অপর আহত তাহের কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে নিকট আত্মীয়দের বরাতে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আহতরা চোরাই পণ্য সামগ্রী মিয়ানমারে পাচার এবং ওপার থেকে নিষিদ্ধ চোরাই সামগ্রী আনতে গিয়ে এমন ঘটনার কবলে পড়ে।
ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া বলেন, ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে দুইজন বাংলাদেশি স্থলমাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়েছে স্থানীয়রা।