মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবান
সীমান্ত দিয়ে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় বান্দরবান সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বিজিবি। বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্তের প্রায় ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি জায়গায় সীমান্ত চৌকি ও স্থাপনাগুলোতে বিজিবির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে সীমান্ত এলাকায় টহল ও নজরদারি। সীমান্ত এলাকায় বসানো সিসি ক্যামেরায় সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি সীমান্ত থেকে শুরু করে তুমব্রু ঘুনধুম হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত পর্যন্ত এসব এলাকায় বিজিবির পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা গুলোরও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাত গত কয়েক দিনে ব্যাপক রূপ নেওয়ায় সীমান্তে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য। এমন খবর আসার পর বর্ডার গার্ড বিজিবি নড়েচড়ে বসেছে।
সীমান্তের ওপারে রাখাইনের মংডু ও বুচিডং সহ কয়েকটি উপশহরে গত কয়েকদিন থেকে সে দেশের সেনাবাহিনীর সাথে বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, রোহিঙ্গাদের বেশ কয়েকটি গ্রাম। বর্তমানে রোহিঙ্গাদের সেখান থেকে বিতাড়িত করছে আরাকান আর্মি। অন্যদিকে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর ব্যাপক বোমা হামলায় আতঙ্কে রোহিঙ্গারা নিরাপদ জায়গায় সরে গিয়েছে। কয়েক হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে। এ পরিস্থিতিতে সীমান্তে নজরদারি ও নিরাপত্তা আগের চাইতে দ্বিগুণ জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।