আব্দুল মান্নান স্টাফ রিপোর্টার (খাগড়াছড়ি)
বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গণগ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্রয়ের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম।
২২ এপ্রিল সোমবার সকাল ১০টায় মানিকছড়ি সদরের জামতলা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
মিছিলটি পেট্রোলপাম্প এলাকা ঘুরে আবার জামতলায় এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পিসিপি’র মানিকছড়ি উপজেলা শাখার সদস্য আনু মারমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, পিসিপি’র মানিকছড়ি উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি অংহ্লাচিং মারমা ও পিসিপি’র মানিকছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অংসালা মারমা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বম জাতিসত্তার সাধারণ জনগণকে গণগ্ৰেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে। শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ ৭০ জনের অধিক নারী-পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে গর্ভবতী নারীও রয়েছেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সামাজিক উৎসব বৈসাবি নানা আয়োজনে সাধারণ জনগণের ওপর প্রশাসনের কড়াকড়ি ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ৫ কেজির বেশি চাল কিনতে বাধা প্রদান করা হচ্ছে! বক্তারা আরও বলেন, যারা ব্যাংক ডাকাতি করেছে তারা অবশ্যই অপরাধী। কিন্তু তাই বলে পুরো বম জাতিসত্তার ওপর কেন এর দায় চাপানো হবে?
প্রকৃত অর্থে যারা ব্যাংক ডাকাতির সাথে জড়িত তাদেরকে গ্রেফতার করুন, অযথা সাধারণ জনগণকে গ্রেফতার-নিপীড়ন করবেন না। শুধু বান্দরবানে নয়, পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জনগণের কোন নিরাপত্তা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যদি এভাবে দমন-পীড়ন জারি রাখা হয় তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ বসে থাকবে না। অবিলম্বে গ্ৰেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি, সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বম জাতিসত্তাসহ সকল জাতিসত্তার ওপর অন্যায় দমন-পীড়ন বন্ধ করা হোক।